<p>তোমরা নিশ্চয়ই অবগত আছ যে ‘কভিড-১৯’ মহামারির কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। ফলে সম্ভাব্য ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্তৃক সংক্ষিপ্ত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসের আলোকে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই মূল্যায়নের মাধ্যমে তোমাদের অর্জিত শিখনফলের দুর্বলতা চিহ্নিত করে পরবর্তী ক্লাসে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই নির্দেশিত অ্যাসাইনমেন্টটি ভালো মানের করার জন্য নিচের বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখবে।</p> <p> <span style="color:#0000FF"><strong>          - বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।</strong></span></p> <p><span style="color:#0000FF"><strong>           - লেখায় তথ্য, তত্ত্ব, সূত্র ও ব্যাখ্যা পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে।</strong></span></p> <p><span style="color:#0000FF"><strong>           - নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা বজায় রাখবে।</strong></span></p> <p> </p> <p><strong>সৃজনশীল প্রশ্ন</strong></p> <p>লিথিয়াম, পানি, খাবার লবণ, চক, কার্বন, চুন, নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, অক্সিজেন, আয়োডাইড, লোহা, ক্লোরিন ইত্যাদি কিছু পদার্থ।</p> <p>ক) মৌলিক পদার্থ কাকে বলে?</p> <p>খ) অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য লেখ।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2020/12.December/05-12-2020/Kk-20'12'05-20.jpg" style="height:125px; margin-left:10px; margin-right:10px; width:200px" /></p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2020/12.December/05-12-2020/Kk-20'12'05-21.jpg" style="height:170px; margin-left:10px; margin-right:10px; width:200px" /></p> <p>গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত পদার্থগুলোকে প্রতীক ও সংকেতের সাহায্যে প্রকাশ করে মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থ আলাদা করো।</p> <p>ঘ) উল্লিখিত পদার্থগুলোর মধ্যে কাকে সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয়? কারণ বিশ্লেষণ করো।</p> <p> </p> <p><strong>উত্তর</strong></p> <p>ক) যে সকল পদার্থকে ভাঙলে বা বিশ্লেষণ করলে ওই পদার্থ ছাড়া আর কোনো পদার্থ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন—তামা, লোহা, অক্সিজেন, কার্বন ইত্যাদি।</p> <p>খ) অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য নিম্নে দেওয়া হলো—</p> <p>গ) নিম্নে মৌলিক ও যৌগিক পদার্থগুলো পৃথকভাবে প্রতীক ও সংকেতের মাধ্যমে দেখানো হলো—</p> <p> </p> <p>মৌলিক পদার্থের নাম ও প্রতীক</p> <p><strong><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2020/12.December/05-12-2020/Kk-20'12'05-22.jpg" style="height:281px; margin-left:10px; margin-right:10px; width:200px" /></strong></p> <p>যৌগিক পদার্থের নাম ও সংকেত</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2020/12.December/05-12-2020/Kk-20'12'05-23.jpg" style="height:153px; margin-left:10px; margin-right:10px; width:200px" /></p> <p>ঘ) কোনো মিশ্রণের যে উপাদানটি দ্রবণের ভৌত অবস্থা নির্ধারণ করে তাকে দ্রাবক বলে। সাধারণভাবে বলা যেতে পারে, যেসব পদার্থ অন্য পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে তাদের দ্রাবক বলে। আর কোনো পদার্থ যদি অজৈব ও জৈব সকল প্রকৃতির পদার্থকে দ্রবীভূত করে, তবে তাকে সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।</p> <p>উদ্দীপকে উল্লিখিত পদার্থগুলোর মধ্যে দ্রাবক হিসেবে রয়েছে পানি, যা একটি যৌগিক পদার্থ। এটি মূলত হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পরমাণুর বন্ধনে সৃষ্ট। পানিকে সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।</p> <p>পানি অধিকাংশ অজৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে। খাবার লবণ, ফিটকিরি প্রভৃতি অজৈব পদার্থ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানিতে দ্রবীভূত হয়। এ ছাড়া পোলারিটি সম্পন্ন জৈব যৌগসমূহকেও পানি দ্রবীভূত করতে পারে। চিনি, ভিনেগার, স্পিরিট, ভিটামিন ‘সি’, গ্লুকোজ প্রভৃতি সকল জৈব পদার্থ সহজেই পানিতে দ্রবীভূত হয়। তাই পানিকে সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।</p> <p> </p> <p><strong>সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন</strong></p> <p>চিনিকে কেন যৌগিক পদার্থ বলা হয়?</p> <p> </p> <p><strong>উত্তর</strong></p> <p>মৌলিক পদার্থকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে অন্য কোনো পদার্থ পাওয়া যায় না, শুধু ওই পদার্থই পাওয়া যায়। কিন্তু যৌগিক পদার্থকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে একাধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। কেননা একাধিক মৌলিক পদার্থের সমন্বয়েই যৌগিক পদার্থ গঠিত।</p> <p>উদ্দীপকে উল্লিখিত চিনির রাসায়নিক সংকেত C12H22O11। চিনিকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে C, H ও O ইত্যাদি মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। চিনির ধর্ম কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাই চিনি একটি যৌগিক পদার্থ।</p>