জ্ঞা ন মূ ল ক প্র শ্ন
ষষ্ঠ অধ্যায়
পরমাণুর গঠন
১। অ্যাটম শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : অ্যাটম কথাটির অর্থ হলো অবিভাজ্য। অ্যাটম শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ অটোমোস থেকে।
২। অণু কী?
উত্তর : পদার্থ ক্ষুদ্র কণা, যার মধ্যে ওই পদার্থের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে তা-ই অণু।
৩। পরমাণু মডেল কী?
উত্তর : পরীক্ষালব্ধ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পরমাণুর গঠন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিজ্ঞানী প্রদত্ত মতবাদগুলোকে একত্রে পরমাণুর মডেল বলে।
৪। নিউক্লিয়াস কী?
উত্তর : পরমাণুতে ধনাত্মক আধান ও ভর একটি ক্ষুদ্র জায়গায় আবদ্ধ। এর নাম নিউক্লিয়াস।
৫। নিউক্লিয়াসে কী রয়েছে?
উত্তর : নিউক্লিয়াসে ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট প্রোটন ও আধান নিরপেক্ষ নিউট্রন রয়েছে।
৬। ইলেকট্রন কী?
উত্তর : পরমাণুর নিউক্লিয়াসের কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান চার্জিত কণাকেই ইলেকট্রন বলে।
৭। আইসোটোপ কী?
উত্তর : বিভিন্ন ভরসংখ্যাবিশিষ্ট একই মৌলের পরমাণুকে ওই মৌলের আইসোটোপ বলা হয়।
৮। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব আইসোটোপ তেজস্ক্রিয় রশ্মি বা কণা বিকিরণ করে তাদের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বলে।
৯। পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর : কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান প্রোটনের সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলে।
১০। ভরসংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর : কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান, প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে ওই মৌলের ভরসংখ্যা বলে।
১১। একটি মৌলের পরমাণু থেকে আরেকটি মৌলের পরমাণুর মধ্যে কিসের পার্থক্য হয়ে থাকে?
উত্তর : একটি মৌলের পরমাণু থেকে আরেকটি মৌলের পরমাণুর মধ্যে আকার, ভর ও ধর্মে পার্থক্য হয়ে থাকে।
১২। পরমাণুগুলোর মধ্যে কেন পার্থক্য হয়ে থাকে?
উত্তর : পরমাণুগুলোর মধ্যে পার্থক্য পরমাণুতে প্রোটন বা ইলেকট্রন সংখ্যা পার্থক্যের কারণে হয়ে থাকে।
১৩। প্রোটনের সংখ্যা কেন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : কোনো মৌলের পরমাণুর বৈশিষ্ট্যকে বোঝানোর জন্য প্রোটনের সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।
১৪। কোনো মৌলের ভরসংখ্যা = কী?
উত্তর : কোনো মৌলের ভরসংখ্যা = ওই মৌলের পরমাণুতে প্রোটনের সংখ্যা + নিউট্রনের সংখ্যা।
১৫। মৌলিক পদার্থের ধর্ম কিসের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর : মৌলিক পদার্থের ধর্ম মূলত তাদের পরমাণুর ইলেকট্রনবিন্যাস ওপর নির্ভর করে।
১৬। পরমাণুর ইলেকট্রনীয় কক্ষপথ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলো যে নির্দিষ্ট পথে নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান থাকে তাকে সে পরমাণুর ইলেকট্রনীয় কক্ষপথ বলে।
১৭। নিষ্ক্রিয় মৌল কী?
উত্তর : যেসব মৌলের শেষ শক্তিস্তরে ৮টি ইলেকট্রন থাকে (হিলিয়ারে ক্ষেত্রে ২টি), সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় মৌল বলে।
১৮। অ্যানায়ন কী?
উত্তর : ঋণাত্মক আধানযুক্ত পরমাণুকে অ্যানয়ন বলে।
১৯। নিষ্ক্রিয় পরমাণু কী?
উত্তর : কোনো পরমাণুর শেষ কক্ষপথে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকতে পারে, সেই কক্ষপথে যদি ততগুলো ইলেকট্রন থাকে, তাহলে ওই পরমাণুকে নিষ্ক্রিয় পরমাণু বলে।
২০। পরমাণু কী?
উত্তর : মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য রক্ষাকারী ক্ষুদ্রতম কণাকে পরমাণু বলে।
২১। পরমাণু কী দিয়ে গঠিত?
উত্তর : পরমাণু ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউটন দিয়ে গঠিত।
২২। ক্যাটায়ন কাকে বলে?
উত্তর : যে আয়নে ধনাত্মক আধান রয়েছে তাকে ক্যাটায়ন বলে।
২৩। ঋণাত্মক আয়ন কী?
উত্তর : ইলেকট্রন গ্রহণ করে পরমাণু যে আয়নে পরিণত হয় তাকে ঋণাত্মক আয়ন বলে।
২৪। ইলেকট্রনবিন্যাস কাকে বলে?
উত্তর : বিভিন্ন কক্ষপথে ইলেকট্রনের নির্দিষ্ট সজ্জাই হলো ইলেকট্রনবিন্যাস।
২৫। শক্তিস্তর কী?
উত্তর : নিউক্লিয়াসের চারদিকে যেসব বৃত্তাকার পথে ইলেকট্রনগুলো ঘুরতে থাকে, সেগুলোকে শক্তিস্তর বলে।
মন্তব্য