<p>বরফ পানির কঠিন রূপ। প্রমাণ চাপে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে পানি বরফে রূপান্তরিত হয়। বরফের আপেক্ষিক গুরুত্ব পানির চেয়ে কম। তাই বরফ পানিতে ভাসে। রেফ্রিজারেটর আবিষ্কারের আগে খাবার সংরক্ষণ করে রাখার জন্য বরফ ব্যবহার করা হতো। যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের দুই ভাই উইলিয়াম ও ফ্রেডরিক টিউডরের মাথায় প্রথম বরফ বিক্রির চিন্তা আসে। ১৮৬০ সাল থেকে আমেরিকা খাদ্য সংরক্ষণের জন্য বরফ ব্যবহার শুরু করে। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে আমেরিকার প্রায় প্রতিটি মুদি দোকানে বরফের বাক্স আবশ্যকীয় হয়ে ওঠে। রেফ্রিজারেটর আবিষ্কারের পর দূর-দূরান্ত থেকে জাহাজে বয়ে আনা বরফের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। এখন প্রয়োজনে ঘরেই সবাই বরফ তৈরি করে নিতে পারে।</p> <p>খাবার হিসেবেও ব্যবহার করা হয় বরফ। আইসক্রিম তৈরির অপরিহার্য উপাদান বরফ। এ ছাড়া শরবত, লাচ্ছি, ফালুদা ইত্যাদি তৈরিতেও বরফ ব্যবহার করা হয়। খাওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে আমরা নানা কাজে বরফ ব্যবহার করি। জামা-কাপড় ইস্ত্রি করার আগে কাপড়ের কুঁচকে যাওয়া অংশের ওপর বরফ ঘষে নিলে সহজেই ইস্ত্রি করা যায়। চুলে চুইংগামজাতীয় আঠালো কিছু আটকে গেলে চুল লবণ-পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে বরফ দিয়ে ঘষে নিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। জামায় হঠাৎ খাবার পড়ে বিশ্রী দাগ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে বরফ দিয়ে জায়গাটা ঘষে নিলে দাগ ফিকে হয়ে যায়। গায়ে কোথাও কাঁটা ফুটলে সেটি বের করার আগে ফুটে থাকা জায়গায় কিছুক্ষণ এক টুকরা বরফ দিয়ে ঘষে নিলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। পিঠ ব্যথায় বরফের ঠাণ্ডা প্যাক ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। কোনো কারণে ত্বকে র‌্যাশ বেরোলে আক্রান্ত অংশে বরফ দিয়ে ভালো করে ঘষলে জ্বালা বা অস্বস্তিবোধ অনেকটাই কমে যায়।</p> <p><strong>ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল</strong></p>