<p><strong>[একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বইয়ের বিড়াল গল্পে বঙ্গদর্শনের কথা উল্লেখ আছে]</strong></p> <p>  <p>পশ্চিম এশিয়ার দীর্ঘতম ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নদী ফোরাত। নদীটি ইউফ্রেটিস নামে বেশি পরিচিত। ‘ইউফ্রেটিস’ শব্দটি পারস্য শব্দ ‘ইউফ্রেতু’ থেকে এসেছে।</p> </p> <p>নদীটি পূর্ব তুরস্কের উচ্চ ভূমিতে উৎপত্তি হয়ে সিরিয়া ও ইরাকের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর দজলা নদীর (টাইগ্রিস নদী) সঙ্গে মিলে শাতিল আরব নামে পারস্য উপসাগরে গিয়ে পতিত হয়েছে।</p> <p>ফোরাত নদী গঠিত হয়েছে দুটি নদীর মিলনে। একটি কারা সু এবং অন্যটি মুরাত সু।</p> <p>নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮০০ কিলোমিটার। এর অববাহিকার আয়তন প্রায় পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটার। নদীটিতে ২২টি বাঁধ ও ১৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাঁধটি হলো আতাতুর্ক বাঁধ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধগুলোর একটি। তুরষ্কের দক্ষিণ-পূর্ব আনাতোলিয়া অঞ্চলে এ বাঁধের অবস্থান। আধুনিক তুরষ্কের জনক মোস্তফা কামাল আতুতুর্কের নামে বাঁধটির নাম রাখা হয়েছে। </p> <p>ফোরাত নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে প্রাচীন মেসোপটেমীয় সভ্যতা। প্রাচীন সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয় এবং আসিরীয় সভ্যতাগুলোও এখানে বিকাশ লাভ করেছে। এ নদীর তীরেই ইরাকের কারবালা প্রান্তর অবস্থিত, যেখানে ইমাম হুসাইন (রা.) শাহাদাত বরণ করেছেন। </p> <p>নদীটিতে এপ্রিল ও মে মাসে পানির পরিমাণ বেশি থাকে।</p> <p>নদীর তীরঘেঁষা প্রধান শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার রাক্কা ও দাইর আজ জর, ইরাকের রামাদি। নদীটি অগভীর হওয়ায় ছোট নৌকা ছাড়া অন্য কোনো যান চলাচল করতে পারে না। পানি সরবরাহের জন্য নদীটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তুরস্ক, সিরিয়া ও ইরাক সেচ এবং পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে এ নদীর পানি ব্যবহার করে।</p> <p> </p> <p style="text-align: right;"><strong>আব্দুর রাজ্জাক</strong></p>