<p>জিংক অতি প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। এটি মানবদেহের প্রতিটি কোষ, টিস্যু, হাড় ও তরলে বিদ্যমান। শরীরের কার্যক্রম ঠিক রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে জিংক অপরিহার্য। </p> <p>দৈনন্দিন অনেক খাবারেই এই জিংকের চাহিদা পূরণ হয়। গরু ও ভেড়ার মাংসে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিংক রয়েছে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, গরু-খাসির কলিজা, আটা-ময়দার রুটি, দুগ্ধজাত খাদ্য, শিমজাতীয় উদ্ভিদ, মসুর ডাল, চীনাবাদাম, মাশরুম, সয়াবিন ও ঝিনুকে জিংক পাওয়া যায়।</p> <p>শরীরে জিংকের অভাব হলে ডায়রিয়া বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দেহের বৃদ্ধি রোধ, দৈহিক অপরিপক্বতা, পায়ে বা জিহ্বায় ক্ষত, মুখের চারপাশে ক্ষত, একজিমা, ব্রণ বা ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া জিংকের অভাবে চুল পড়ে যায়, পুরুষের প্রজননক্ষমতা কমে যায়; মানসিক দুর্বলতা, বিষণ্নতা, ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়।</p> <p>বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, পুরো বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ জনসংখ্যা জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে। শরীর সুস্থ রাখতে হলে শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ সব মানুষেরই প্রতিদিন জিংকসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। একজন পুরুষের দৈনিক ১১ মিলিগ্রাম এবং একজন নারীর দৈনিক ৮ মিলিগ্রাম জিংক গ্রহণ করা দরকার। এক থেকে তিন বছরের বাচ্চার জন্য ৩ মিলিগ্রাম এবং চার থেকে আট বছরের বাচ্চাদের জন্য ৫ মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন।</p> <p><strong>আব্দুর</strong> <strong>রাজ্জাক</strong></p>