<p>বোরিক পাউডার এক ধরনের মৃদু এসিড। কক্ষ তাপমাত্রায় (২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এটি বর্ণহীন স্ফটিক ও সাদা গুঁড়া পাউডার হিসেবে পাওয়া যায় এবং নিজে থেকে কারো সঙ্গে বিক্রিয়া করে না বললেই চলে। একে হাইড্রোজেন বোরেট, বোরারিক এসিড ও অর্থোবোরিক এসিড নামেও ডাকা হয়। এর রাসায়নিক সংকেত H<sub>3</sub>BO<sub>3</sub>. খনিজের সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় বোরিক পাউডারকে স্যাসোলাইট হিসেবেও ডাকা হয়। এই পাউডার পানিতে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয়।</p> <p>১৬৫২ থেকে ১৭১৫ সালের মধ্যে কোনো একসময় উইলহেম হোমবার্গ প্রথম বোরিক পাউডার আবিষ্কার করেন এবং এর নাম দেন সাল সালদাটিভাম হোমবার্গি (হোমবার্গের শোষক লবণ)। এটি মূলত প্রাকৃতিকভাবে তৈরি খনিজগুলোর একটি উপাদান, যা ইতালির টাসকানির অঞ্চল, লিপারি দ্বীপপুঞ্জ ও যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদাসহ বেশ কিছু আগ্নেয়গিরি অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। প্রাচীন গ্রিকের সময়কাল থেকে এটি পরিষ্কারক ও দুর্গন্ধনাশক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।</p> <p>বোরিক পাউডারে এসিডিক উপাদান আছে বলে একে কীট ও জীবাণুনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এটি পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। বোরিক পাউডার, কোকো পাউডার এবং ময়দা বা আটা একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণটি ঘরের কোনায় কোনায় ছিটিয়ে রাখলে আরশোলাসহ অনেক পোকামাকড়ের উপদ্রব কমে যায়।</p> <p>ছোটখাটো পোড়া বা কাটায় বোরিক পাউডার অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ পাউডারের পাতলা দ্রবণ চোখ ধোয়ার কাজেও ব্যবহৃত হয়। এটি ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় জন্ম নেওয়া ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।</p> <p>যারা ক্যারম খেলে তারা বোরিক পাউডারকে পিচ্ছিলকারক হিসেবে ব্যবহার করে। এ ছাড়া এই পাউডার ধান ও গম জাতীয় শস্য সংরক্ষণেও ব্যবহার করা হয়।</p> <p> </p>