<p>[একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম অধ্যায়ে ‘ইন্টারনেট অব থিংস (IOT)’ সম্পর্কে আলোচনা আছে]</p> <p>ইন্টারনেট অব থিংস  (IOT) হলো ইলেকট্রনিকস, সফটওয়্যার, সেন্সর ও নেটওয়ার্ক সংযোগের সঙ্গে যুক্ত ফিজিক্যাল অবজেক্ট।</p> <p>এটি এমন একটি নেটওয়ার্ক, যেখানে এম্বেডেড সেন্সর ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং পরিবর্তন করা সম্ভব। এর মাধ্যমে অনেক ডিভাইস একটি আরেকটির সঙ্গে ইন্টারনেট দ্বারা যুক্ত থাকে এবং তাদের মধ্যে ডাটা আদান-প্রদান করে।</p> <p>ইন্টারনেট দ্বারা যুক্ত ডিভাইস বলতে আমরা এখনো বুঝি আমাদের পিসি, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন এসবই। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এখন অনেক কিছুতেই ইন্টারনেট সংযুক্ত করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হবে।</p> <p>IOT সম্পর্কিত জিনিস হিসেবে স্মার্ট ফ্রিজের কথা বলা যেতে পারে। আইওটি প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা গেলে স্মার্ট ফ্রিজ হবে এমন একটি যন্ত্র, যা নিজ থেকেই ভেতরে প্রয়োজনীয় খাদ্য আছে কি না তা শনাক্ত করতে সক্ষম হবে। এ ক্ষেত্রে ফ্রিজের ভেতরে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে, যা ফ্রিজের ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে গ্রাহককে টেক্সটের মাধ্যমে সামগ্রিক অবস্থা জানাবে।</p> <p>হাঁপানি রোগীরা ইনহেলার ব্যবহার করে থাকেন। সেই সাধারণ ইনহেলারকে একটি জিপিএস সেন্সর যুক্ত করে রূপান্তর করা যাবে  IOT যুক্ত ইনহেলার। এতে যিনি ইনহেলার ব্যবহার করছেন তাঁর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সব তথ্য তথ্যভাণ্ডারে চলে যাবে। এতে তিনি ঠিক কোন জায়গায় ইনহেলার বেশি ব্যবহার করেছেন, সেই জায়গার আবহাওয়া, পরিবেশ কেমন তার সম্পর্কে অটো তথ্য চলে যাবে। এ সব তথ্য নিরীক্ষা করে ডাক্তার তাঁর ওষুধ নির্ধারণ করতে পারবেন।</p>