সোমবার । ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯। ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৬। ১১ রবিউস সানি ১৪৪১
হরমোন হচ্ছে এক ধরনের জৈব-রাসায়নিক তরল। এটি জীবের কোনো কোষ বা গ্রন্থি থেকে কোনো একটি নির্দিষ্ট অংশে নিঃসরিত হয়। এই হরমোনের মাধ্যমে জীবের অন্যান্য অংশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পরিবর্তনের সংকেত পাঠানো হয়। হরমোন রাসায়নিক বার্তাবাহক হিসেবেও কাজ করে। সব বহুকোষীয় জীব হরমোন নিঃসরণ করে। মানুষের দেহে এক ধরনের বিশেষ নালিবিহীন গ্রন্থি থাকে। এসব গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। নালিবিহীন গ্রন্থি নিঃসৃত এ ধরনের রসই হরমোন। হরমোন পরিবহনের জন্য পৃথক কোনো নালি নেই। রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয় এবং জৈবিক কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে। মানবদেহের কয়েকটি হরমোন গ্রন্থি হলো পিটুইটারি গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি, প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি, থাইমাস গ্রন্থি, অ্যাডরেনাল বা সুপ্রারেনাল গ্রন্থি, আইলেটস অব ল্যাংগারহ্যানস, গোনাড বা জনন অঙ্গ গ্রন্থি। এর মধ্যে পিটুইটারি গ্রন্থি মানবদেহের প্রধান হরমোন। গাছের হরমোনকে ফাইটোহরমোন বলা হয়। উদ্ভিদে যেসব হরমোন পাওয়া যায় এর মধ্যে অক্সিন, জিব্বেরেলিন ও সাইটোকইনিন বৃদ্ধি সহায়ক এবং অ্যাবসাইসিক এসিড ও ইথিলিন বৃদ্ধি প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। মানবদেহের চাহিদা অনুসারে গ্রস্থি থেকে অবিরত ধারায় হরমোন নিঃসৃত হয়। তবে প্রয়োজন অপেক্ষা কম অথবা বেশি পরিমাণ হরমোন নিঃসৃত হলে শরীরে নানা রকম অবাঞ্ছিত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আব্দুর রাজ্জাক
মন্তব্য