<p>[অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে একাদশ অধ্যায়ে ‘ম্যাগনিফাইং গ্লাস’ সম্পর্কে আলোচনা আছে]</p> <p>কোনো উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্বের মধ্যে কোনো বস্তুকে স্থাপন করে লেন্সের অপর পাশ থেকে বস্তুটিকে দেখলে বস্তুটির একটি সোজা, বিবর্ধিত ও অবাস্তব বিম্ব দেখা যায়। এখন এই বিম্ব চোখের যত কাছে গঠিত হবে চোখের বিক্ষণ কোণও তত বড় হবে এবং বিম্বটিকেও বড় দেখাবে। কিন্তু বিম্ব চোখের নিকট বিন্দুর চেয়ে কাছে গঠিত হলে সেই বিম্ব আর স্পষ্ট দেখা যায় না। সুতরাং বিম্ব যখন চোখের নিকট বিন্দু অর্থাৎ স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্বে গঠিত হয়, তখনই তা খালি চোখে সবচেয়ে স্পষ্ট দেখা যায়। ফলে যেসব লেখা বা বস্তু চোখে পরিষ্কার দেখা যায় না, তা স্পষ্ট ও বড় করে দেখার জন্য স্বল্প ফোকাস দূরত্বের একটি উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়। উপযুক্ত ফ্রেমে আবদ্ধ এই উত্তল লেন্সকে ম্যাগনিফাইং গ্লাস বা বিবর্ধক কাচ বা পঠন কাচ বা সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র বলে। এটি দ্বারা খুব বেশি বিবর্ধন পাওয়া যায় না।</p> <p> </p>