<p><strong>প্রতিবেদন</strong></p> <p>মনে করো, তোমার নাম তানিয়া। তুমি দৈনিক ‘কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার। ‘প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় এগিয়ে আসুন’—শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রণয়ন করো।</p> <p>প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় এগিয়ে আসুন</p> <p>তানিয়া, স্টাফ রিপোর্টার ।। ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ ।। ২৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার, ২০১৯</p> <p>পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর প্লাস্টিক আর পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে দ্বিমতের অবকাশ নেই। পলিথিন দূষণের ক্রমবর্ধমান হার নিয়েও নেই সন্দেহ। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে বিশ্বব্যাপী এর অপব্যবহার এবং অতি ব্যবহার রোধে যে উদ্যোগ ও প্রচারণা চলছে, বাংলাদেশ ঠিক তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে যে ধারণাপত্র, তথ্য-উপাত্ত, আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে পলিথিন ও প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।</p> <p>বিশ্ব যেখানে প্লাস্টিকবিরোধী লড়াইয়ে সাফল্য অর্জন করে চলেছে, সেখানে আমরা পেছনে পড়ে আছি। ২০০২ সালে ৫৫ মাইক্রোনের নিচে পালিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের বলে ওই সময় পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছিল মূলত নগরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে। কারণ, পরিত্যক্ত পলিথিন ব্যাগের কারণে রাজধানীর নালা-নর্দমাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু নজরদারির অভাবে আবার বাজার ছেয়ে গেছে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগে। ২০১০ সালে আরেকটি আইনের মাধ্যমে পলিথিন বস্তার স্থলে চটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সেই আইনও ক্রমে কাগুজে দলিলে পরিণত হয়েছে। পলিথিন ও প্লাস্টিকের পুনর্চক্রায়ণের উদ্যোগ গত কয়েক বছরে বাড়লেও অনেক ক্ষেত্রে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটেছে। প্লাস্টিক বর্জ্যের সঙ্গে হাসপাতাল বর্জ্য মিশিয়ে পুনর্চক্রায়ণের ফলে খাদ্য সরবরাহের যেসব প্লাস্টিক পাত্র তৈরি হচ্ছে, তাতে ক্যান্সারসহ মারাত্মক রোগ-ব্যাধির ঝুঁকি বেড়ে গেছে।</p> <p>আমরা মনে করি পলিথিন ও প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে হলে এখনই উদ্যোগী হতে হবে। ‘প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করি, না পারলে বর্জন করি’—জাতিসংঘের পরিবেশ দিবসের এ প্রতিপাদ্যের স্পষ্ট বার্তা—প্লাস্টিকের ব্যবহার আর বাড়তে দেওয়া যায় না। তাই আমরা চাই, নিষিদ্ধ মাত্রার পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণনের ওপর নজরদারি জোরদার করা হোক। বাংলাদেশের নিজস্ব সোনালি আঁশ পাটের ব্যবহার বাড়িয়ে এ দূষণ মোকাবেলা করতে হবে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।</p>