<p>[অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের অষ্টম অধ্যায়ে ‘শুষ্ক কোষ’ সম্পর্কে আলোচনা আছে]</p> <p> </p> <p>টর্চলাইট, বিভিন্ন রকম রিমোট কন্ট্রোলার, নানা রকম খেলনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় এগুলোকে ড্রাইসেল বা শুষ্ক কোষ বলে।</p> <p>শুষ্ক কোষ তৈরির পদ্ধতি</p> <p>প্রথমে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়া ও ম্যাঙ্গানিজ ডাই-অক্সাইড ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে অল্প পরিমাণ পানি যোগ করে একটি পেস্ট বা লেই তৈরি করা হয়। এই মিশ্রণটি সিলিন্ডার আকৃতির দস্তার চোঙে নিয়ে তার মধ্যে একটি কার্বন দণ্ড এমনভাবে বসানো হয়, যাতে দণ্ডটি দস্তার চোঙকে স্পর্শ না করে। কার্বন দণ্ডের মাথায় একটি টুপি পরানো থাকে। শুষ্ক কোষের ওপরের অংশ কার্বন দণ্ডটির চারপাশ পিচের আস্তরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। দস্তার চোঙটিকে একটি শক্ত কাগজ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এখানে দস্তার চোঙ ঋণাত্মক তড়িত্দ্বার বা ক্যাথোড হিসেবে কাজ করে আর ধাতব টুপি দিয়ে ঢাকা কার্বন দণ্ডের উপরিভাগ ধনাত্মক তড়িত্দ্বার বা অ্যানোড হিসেবে কাজ করে।</p>