<p>বেকিং সোডাই মূলত খাবার সোডা। এর রাসায়নিক নাম সোডিয়াম বাইকার্বনেট, সংকেত NaHCO3। এটি সাদা কঠিন স্ফটিক পদার্থ; কিন্তু ব্যবহার করা হয় মিহি পাউডাররূপে। স্বাদে সামান্য লবণাক্ত ও ক্ষারধর্মী। নাকোলাইট হচ্ছে এর প্রাকৃতিক খনিজ রূপ, যা খনিজ ন্যাট্রনের একটি উপাদান। সোডিয়াম কার্বনেট ডেকাহাইড্রেট ও সোডিয়াম বাইকার্বনেট মিশ্রণকে ন্যাট্রন বলে। প্রাচীন মিশরীয়রা প্রাকৃতিকভাবে জমা হওয়া ন্যাট্রন ব্যবহার করত।</p> <p>১৮৪৬ সালে নিউ ইয়র্কের দুজন রুটি প্রস্তুতকারক জন ডোয়াইট এবং অস্টিন চার্চ সোডিয়াম কার্বনেট ও কার্বন ডাই-অক্সাইড থেকে খাবার সোডা তৈরির প্রথম ফ্যাক্টরি নির্মাণ করেন।</p> <p>খাবার সোডা কেক, বিস্কুট, পাউরুটি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। নানরুটি ও কেক ফোলানোর কাজে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই সোডার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজম ভালো হয়। এটি অ্যান্টি-এসিড হিসেবে ভালো কাজ করে, লিভারকে পরিষ্কার রাখে, শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে। এ ছাড়া এটি কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।</p> <p>খাবার সোডা রান্না করার সময় কোনো কিছু তাড়াতাড়ি সিদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া দাঁতের হলদে ভাব ও কালো দাগ দূর করে সাদা চকচকে করতে, মুখের দুর্গন্ধ, দাঁতের শিরশির ভাব দূর করতে, ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য রক্ষায়, শেভের পর ত্বকের চুলকানি, ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস, মাথার ত্বকের খুশকি, বগলের কালো দাগ দূর করতে খাবার সোডা ব্যবহার করা হয়।</p> <p><strong>ইন্দ্রজিৎ</strong> <strong>মণ্ডল</strong></p>