<p style="text-align: center;"><strong>যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>প্রশ্ন নম্বর ১১</strong></p> <p>১। কবিতাংশটুকু পড়ে ক, খ ও গ ক্রমিকের প্রশ্নের উত্তর লেখো :</p> <p>আমি ভালোবাসি আমার</p> <p>নদীর বালুচর,</p> <p>শরৎকালে যে নির্জনে</p> <p>চকাচকির ঘর।</p> <p>যেথায় ফুটে কাশ</p> <p>তটের চারিপাশ,</p> <p>শীতের দিনে বিদেশি সব</p> <p>হাঁসের বসবাস।</p> <p>কচ্ছপেরা ধীরে</p> <p>রৌদ্র পোহায় তীরে,</p> <p>দু-একখানি জেলের ডিঙি</p> <p>সন্ধ্যাবেলায় ভিড়ে।</p> <p>ক) কোন দুই মাস নিয়ে শরৎকাল গঠিত?    উত্তর : ভাদ্র ও আশ্বিন এই দুই মাস নিয়ে শরৎকাল গঠিত।</p> <p>খ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো।</p> <p>উত্তর : কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো—</p> <p>i. নদীর এ পারে যে মানুষটি বাস করে, সে নদীর বালুচর ভালোবাসে।</p> <p>ii. শরৎকালে চকাচকিরা নদীতীরের নির্জন স্থানে ঘর বাঁধে।</p> <p>iii. নদীর তীরে কাশফুল ফোটে।</p> <p>iv. শীতকালে বিদেশি হাঁস সেখানে বসবাস করে।</p> <p>v. কচ্ছপরা নদীর তীরে বসে রোদ পোহায় আর সন্ধ্যাবেলায় জেলেদের ডিঙি নৌকাগুলো তীরে এসে ভিড়ে।</p> <p>গ) তোমার গ্রামের নদীটি তোমার কেন ভালো লাগে, সে সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো।</p> <p>উত্তর : আমার গ্রামের নদীটি যে কারণে আমার ভালো লাগে তা হলো—</p> <p>i. আমার গ্রামের নদীর ঘাটে সারে সারে নৌকা বাঁধা থাকে।</p> <p>ii. নদীর পারে আমি সকালে-সন্ধ্যায় বেড়াতে যাই।</p> <p>iii. আমরা সবাই মিলে মাঝেমধ্যে নৌকায় ভ্রমণে যাই।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2019/07 July/15-07-2019/Kalerkantho_19-07-15-30.jpg" style="height:107px; width:665px" /></p> <p>২। উদ্দীপকটি পড়ে ক, খ ও গ ক্রমিকের প্রশ্নের উত্তর লেখো :</p> <p>শিক্ষকে কন — ‘জাঁহাপনা, আমি বুঝিতে পারিনি, হায়,</p> <p>কী কথা বলিতে আজিকে আমায় ডেকেছেন নিরালায়?’</p> <p>বাদশাহ কহেন, সে দিন প্রভাতে</p> <p>দেখিলাম আমি দাঁড়ায়ে তফাতে</p> <p>নিজ হাতে যবে চরণ আপনি করেন প্রক্ষালন,</p> <p>পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ।</p> <p>নিজ হাতখানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে</p> <p>ধুয়ে দিল নাক কেন সে চরণ, বড় ব্যথা পাই মনে।</p> <p>ক) শিক্ষক বাদশাহকে কী বলে সম্বোধন করেছেন? ‘কন’ শব্দের অর্থ কী?</p> <p>উত্তর : শিক্ষক বাদশাহকে ‘জাঁহাপনা’ বলে সম্বোধন করেছেন।</p> <p>‘কন’ শব্দের অর্থ হলো—বলেন।</p> <p>খ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো।</p> <p>উত্তর : কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো—</p> <p>i. বাদশাহ আলমগীর একদিন তাঁর পুত্রের শিক্ষককে নিরালায় ডেকে পাঠান।</p> <p>ii. শিক্ষক বাদশাহকে বলেন যে তাঁকে নির্জনে ডেকে আনার কারণ তিনি বুঝতে পারেননি।</p> <p>iii. তখন বাদশাহ শিক্ষককে বুঝিয়ে বলেন যে একদিন প্রভাতে তিনি দূরে দাঁড়িয়ে দেখতে পান, তাঁর পুত্র শিক্ষাগুরুর পায়ে শুধু পানি ঢেলে দিচ্ছে।</p> <p>iv. গুরু নিজের হাতে তাঁর পা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করছিলেন।</p> <p>v. তাঁর পুত্র কেন যত্নের সঙ্গে গুরুর পা ধুয়ে দিল না, সে কথা ভেবে তিনি মনে অনেক ব্যথা পেয়েছেন।</p> <p>গ) গুরুজনের প্রতি তুমি কিভাবে সম্মান দেখাবে, তা তিনটি বাক্যে লেখো।</p> <p>উত্তর : গুরুজনের প্রতি আমি যেভাবে সম্মান দেখাব, তা তিনটি বাক্যে লেখা হলো—</p> <p>i. গুরুজনকে দেখলে সালাম দেব।</p> <p>ii. তাঁদের আদেশ-উপদেশ মেনে চলব।</p> <p>iii. তাঁদের মনে কষ্ট লাগে, এমন কথা কখনো বলব না।</p>