<p>ঐতিহ্যগত চিকিৎসাপদ্ধতিগুলোর একটি ইউনানি। প্রাচীন গ্রিস এর উৎপত্তিস্থল। গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস ও রোমান চিকিৎসক গ্যালেন শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে এটি তৈরি। পরে গ্রিস থেকে মিসর, সেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে মুসলমানদের মাধ্যমে ইউনানি চিকিৎসাবিজ্ঞান উপমহাদেশে প্রবেশ করে। তাই বলা যায়, ইউনানি হলো মুসলিম মনীষীদের সাধনা, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার মধ্য দিয়ে আবিষ্কৃত চিকিৎসাপদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বৈদ্য-হাকিম-কবিরাজরা নিজস্ব নীতি-দর্শন অনুযায়ী উদ্ভিদ, প্রাণিজ ও খনিজ উপাদানের মাধ্যমে ওষুধ তৈরি করে রোগাক্রান্ত মানুষের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। গ্রামের দরিদ্র সাধারণ মানুষের একটি বিরাট অংশ এখনো এই চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল। আজকাল শহুরে উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষও প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত ভেষজ ওষুধের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে, বিশেষ করে ভেষজ প্রসাধনী ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। উদ্ভিদ বা উদ্ভিদের গুঁড়া, পেস্ট বা উদ্ভিদের উৎপাদিত দ্রব্য ও সেসবের নির্যাস ইত্যাদি ইউনানি ওষুধের প্রধান উপাদান। অনেক সময় খনিজ পদার্থ, অজৈব রাসায়নিক উপাদান ও প্রাণিজাত দ্রব্য ইউনানি ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। তবে ইউনানি ওষুধে অ্যালকোহল দ্বারা তৈরি কোনো উপাদান ব্যবহার করা হয় না। বাংলাদেশে বেশ কিছু নিবন্ধিত ভেষজ ফার্মাসিউটিক্যালস বা ভেষজ ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান আছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম চারটি বড় প্রতিষ্ঠান হলো—সাধনা, শক্তি, কুণ্ডেশ্বরী, হামদর্দ।  </p> <p> </p> <p>আব্দুর রাজ্জাক  </p>