<p>ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম হচ্ছে আধুনিক বিশ্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট দেওয়ার একটি ডিজিটাল যন্ত্র। এটি একাধারে সঠিকভাবে ভোটগ্রহণ ও দ্রুততার সঙ্গে তা গণনা করতে সক্ষম। ১৯৬৪ সালে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের কার্যকরী সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে ১৪টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ইভিএমের সাহায্যে ভোট নিতে দেখা যায়।</p> <p>ভোটকেন্দ্রেই মূলত ইভিএম ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যালট, কন্ট্রোল, ডিসপ্লে নামের একাধিক ইউনিট থাকে। ব্যালট ইউনিটের ওপর প্রতিটি প্রার্থীর নাম ও প্রতীক সাজানো থাকে। পাশে থাকে একটি করে সুইচ। ভোটার তার পছন্দের প্রতীকের পাশের সুইচ চেপে ভোট দেন। প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে থাকে ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট। তিনি ব্যালট সুইচ চেপে ভোটারকে ভোট দিতে বুথে পাঠান। ভোটার বুথে ঢুকে ব্যালট ইউনিটের নিচে সবুজ বাতি জ্বলতে দেখেন। ভোটার একটি ভোট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যালট ইউনিটটি অকার্যকর হয়ে যায় এবং নিচে লাল বাতি জ্বলে ওঠে। ভোট দেওয়া শেষে ভোটার বুথ থেকে বের হয়ে এলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আবার ব্যালট সুইচ চেপে অন্য ভোটারকে ভোটদানের অনুমতি দিয়ে বুথে পাঠান। এভাবেই চলতে থাকবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতিতে বোতাম চেপে ভোটারদের ভোট দিতে সময় লাগে মাত্র দশ থেকে বারো সেকেন্ড।                   </p> <p> </p>