<p>খাবারকে ক্রেতার কাছে মনোগ্রাহী ও লোভনীয় করে তুলতে হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাবার দোকানে দোকানিরা বিভিন্ন খাদ্যে নানা ধরনের রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করেন, বিশেষ করে কেক, বিস্কুট, ফাস্টফুড, কেচাপ, বেভারেজ, আইসক্রিমকে বিভিন্ন রঙে রঙিন করতে এসব রঞ্জক পদার্থ মেশানো হয়। খাবারে এ রঞ্জক পদার্থকে কৃত্রিম রং বলে।</p> <p>ইউরোপিয় দেশগুলোতে এ ধরনের কৃত্রিম রং ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতাসংবলিত লেবেল এঁটে দেওয়া হয়। ব্রিটেনে ২০০৭ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কৃত্রিম রঞ্জক পদার্থ আপাতদৃষ্টিতে নিরাপদ মনে হলেও তা শিশুদের উত্তেজনাকর প্রবৃত্তি বাড়িয়ে দেয়। খাবারে যোগকৃত কৃত্রিম রঞ্জকগুলোর মধ্যে মোট আটটিকে গবেষকরা ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করেছেন। এ কৃত্রিম রংগুলো হলো—ব্লু ১ (ব্রিলিয়ান্ট ব্লু), ব্লু ২ (ইনডিগোকারমিন), সাইট্রাস রেড ২, গ্রিন ৩ (ফাস্ট গ্রিন), রেড ৩ (ইরাইত্রোসিন), রেড ৪০ (এলুরা রেড), ইয়েলো ৫ (টারটাজিন) এবং ইয়েলো ৬ (সানসেট ইয়েলো)। এর মধ্যে রেড ৪০, ইয়েলো ৫ এবং ইয়েলো ৬ কে বিজ্ঞানীরা অধিক ক্ষতিকারক বলে চিহ্নিত করেছেন। এসব রঞ্জক পদার্থ রুটি, কেক, চকোলেট, সিরাপ, সস, এমনকি ওষুধে মেশানো হয়। জুলাই ২০১০ সাল থেকে ব্রিটিশ সরকার ক্রমাগতভাবে এসব কৃত্রিম রঞ্জক পদার্থকে খাদ্যোপাদান থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।</p> <p>আমাদের দেশে গোটা বা গুঁড়া হলুদে মেশানো হয় লেড ক্রোমেটা লাড্ডু। জিলাপি, বিরিয়ানি, পোলাওকে আকর্ষণীয় করতে মেশানো হয় মেটালিন ইয়েলো। ছানা, পনির, ছানার তৈরি মিষ্টিতে মেশানো হচ্ছে স্টার্চ। এগুলো এক ধরনের স্লো পয়জন, যা আমাদের শারীরিকভাবে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে। কিডনি, হৃৎপিণ্ড, অস্থিমজ্জাসহ সমগ্রদেহের ক্ষতি সাধন করছে এই রং। এর ফলে  মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে; এমনকি গর্ভপাতের মতো ঘটনাও ঘটায় এ ধরনের কৃত্রিম ভেজাল রং।                                            </p>