<p>টেরাকোটা হলো পোড়ামাটির শিল্প। এটি একটি লাতিন শব্দ। ‘টেরা’ অর্থ মাটি আর ‘কোটা’ অর্থ পোড়ানো। পোড়ামাটির তৈরি জিনিসপত্রই টেরাকোটা হিসেবে পরিচিত। মানবসভ্যতার শুরু থেকেই এর ব্যবহার লক্ষ করা যায়। সুমেরীয় ও মায়া সভ্যতায় এই শিল্পের প্রচলন ছিল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে মৌর্য সাম্রাজ্য, গুপ্ত সাম্রাজ্যের বহু টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া গেছে। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর টেরাকোটা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশের দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরে টেরাকোটার নিদর্শন রয়েছে। প্রথমে আঠালো মাটির সঙ্গে খড়কুটো, তুষ মিশিয়ে কাদামাটি প্রস্তুত করা হয়। এরপর নানা রকম জিনিসপত্র তৈরি করে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। রোদে শুকানোর পর তৈরি জিনিসপত্রের ওপর বিভিন্ন নকশা খোদাই করে আগুনে পোড়ানো হয়। এভাবেই বানানো হয় টেরাকোটা। টেরাকোটা মূলত সাংসারিক কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থাপনার অলংকরণ বা কোনো শৈল্পিক প্রদর্শনের জন্যও টেরাকোটা বানানো হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে টেরাকোটার কাজ রয়েছে। এর মধ্যে— মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, বৌদ্ধ স্তূপ, শালবন বিহার, দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ অন্যতম।</p> <p><strong>♦ আব্দুর</strong> <strong>রাজ্জাক</strong></p>