<p>সৃজনশীল প্রশ্ন</p> <p>দশম অধ্যায় : নিয়ন্ত্রণ</p> <p> </p> <p>১। উদ্দীপক : অনুরাধা গ্রুপের স্থায়ী ব্যয় ৭০,০০০ টাকা, প্রতি একক পণ্যের বিক্রয়মূল্য ও পরিবর্তনশীল ব্যয় যথাক্রমে ২০ টাকা ও ১৫ টাকা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুলক বাবু কর্মীদের বোনাসসহ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ফলে কর্মীরা নির্দিষ্ট সময়ে লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়।</p> <p>ক) গ্যান্ট চার্ট কী?        ১</p> <p>খ) নিয়ন্ত্রণ একটি অবিরাম প্রক্রিয়া—ব্যাখ্যা করো।      ২</p> <p>গ) উদ্দীপকে অনুরাধা গ্রুপের কত একক পণ্য বিক্রয় করলে লাভ বা ক্ষতি কিছুই হবে না—নির্ণয় করো।           ৩</p> <p>ঘ) লক্ষ্য অর্জনের পেছনে প্রধান কারণ কোনটি? উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।    ৪</p> <p>উত্তর : ক) প্রতিটি কাজ কখন শুরু হয়ে কখন শেষ হবে এবং কোন কাজ কখন সম্পাদনের কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা দেখানোর মাধ্যমে কার্য নিয়ন্ত্রণের জন্য এইচ এল গ্যান্ট যে চিত্র নির্দেশ করেছেন তাকে গ্যান্ট চার্ট বলে।</p> <p>খ) যে প্রক্রিয়ায় কোনো কাজ একবার চালু হওয়ার পর অন্য কাজের সঙ্গে মিল রেখে অব্যাহতভাবে চলতে থাকে তাকে অবিরাম প্রক্রিয়া বলে।</p> <p>নিয়ন্ত্রণ কালান্তিক কাজ হলেও এটি একটি ধারাবাহিক ও অবিরাম প্রক্রিয়া। যেখানেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলে, সেখানে কাজের সঙ্গে মিল রেখে নিয়ন্ত্রণ কার্যও চলতে থাকে। এ জন্যই বলা হয়, নিয়ন্ত্রণ একটি অবিরাম প্রক্রিয়া।</p> <p>গ) উদ্দীপকে অনুরাধা গ্রুপের যত একক পণ্য বিক্রয় করলে লাভ বা ক্ষতি কিছুই হবে না, তা ব্রেক ইভেন পয়েন্ট বা BEP নির্ণয়ের মাধ্যমে জানা যায়।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2019/03 March/11-03-2019/KK_ST_4A.jpg" style="height:178px; width:200px" /></p> <p>: উদ্দীপকে অনুরাধা গ্রুপের ১৪,০০০ একক পণ্য বিক্রয় করলে লাভ বা ক্ষতি কিছুই হবে না।</p> <p>ঘ) লক্ষ্য অর্জনের পেছনে প্রধান কারণ হলো আর্থিক প্রেষণা।</p> <p>অর্থ ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রণোদনামূলক ব্যবস্থাকে আর্থিক প্রেষণা বলে। বিভিন্ন আর্থিক প্রেষণার মধ্যে বোনাস অন্যতম। প্রত্যাশার সঙ্গে যুক্ত হয় এমন কোনো প্রাপ্তিকেই বোনাস বলে। বর্তমানকালে কর্মীদের উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য বোনাস একটি ফলপ্রসূ পদ্ধতি। একে কর্মীরা বাড়তি পাওনা মনে করে, ফলে কাজে উৎসাহী হয়।</p> <p>উদ্দীপকে অনুরাধা গ্রুপের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁর কর্মীদের বোনাসসহ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন, যা আর্থিক প্রেষণার অন্তর্ভুক্ত। যার ফলস্বরূপ ওই কম্পানির কর্মীরা লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়।</p> <p>প্রেষণাকর্মীরা মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি দক্ষতাও বৃদ্ধি করে, যা কি না প্রতিষ্ঠানের অধিক উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসব ক্ষেত্রে আর্থিক প্রেষণা সবচেয়ে বেশি কার্যকর। সুতরাং বলা যায়, আর্থিক প্রেষণার কারণেই উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে।</p>