<p style="text-align:center"><strong>সৃজনশীল প্রশ্ন</strong></p> <p style="text-align:center"><strong>পঞ্চদশ অধ্যায়</strong></p> <p><strong>উদ্দীপকটি পড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :</strong></p> <p>কাজল প্রতিদিন দেশের দৈনিক পত্রিকাগুলো পড়ে। পত্রিকাগুলোতে বাংলাদেশের আইনের শাসনের অপপ্রয়োগ, অতিমাত্রায় সামাজিক অনিয়ম, স্কুলগামী ছাত্রীদের ওপর নির্যাতনসহ নানা বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। কাজল এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায়ের কথা ভাবতে থাকে।</p> <p>ক) কোন ভাইরাসের কারণে এইডস রোগ হয়?</p> <p>খ) ধর্মীয় আচার-আচরণ এইডস প্রতিকারে সক্ষম—ব্যাখ্যা করো।</p> <p>গ) উদ্দীপকে যে ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে তার ব্যাখ্যা দাও।</p> <p>ঘ) সমাজের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ওই সমস্যাগুলো সমাধানে সক্ষম? তোমার মতামত দাও।</p> <p>উত্তর : ক) HIV ভাইরাসের কারণে এইডস হয়।</p> <p>খ) ধর্মীয় আচার-আচরণ এইডস প্রতিকারে সক্ষম—উক্তিটি সঠিক। এইডস সাধারণত অবৈধ যৌন সম্পর্কের কারণে হয়ে থাকে। ধর্মে অবৈধ যৌন সম্পর্ক হারাম। ফলে কোনো ব্যক্তি যদি ধর্মীয় আচার-আচরণ মেনে চলে, তাহলে সে কখনোই খারাপ কাজ করতে পারবে না। এতে ব্যক্তি এইডস আক্রান্ত হতে দূরে থাকবে।</p> <p>গ) উদ্দীপকে সামাজিক নৈরাজ্যের প্রতিফলন ঘটেছে। সামাজিক বিশৃঙ্খলার চরম রূপ হচ্ছে সামাজিক নৈরাজ্য। রাষ্ট্রের শাসনযন্ত্র যখন আর কাজ করে না এবং শাসনযন্ত্র ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তখন সমাজে নৈরাজ্য দেখা দেয়। সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির পেছনে বহু কারণ দায়ী। উদ্দীপকে কাজল প্রতিদিন দেশের দৈনিক পত্রিকাগুলো পড়ে। পত্রিকার পাতা ওল্টালেই বাংলাদেশের আইনের শাসনের অপপ্রয়োগ, অতিমাত্রায় সামাজিক অনিয়ম, স্কুলগামী ছাত্রীদের ওপর নির্যাতনসহ নানা বিষয় দেখতে পায়। আমাদের সমাজে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভাঙনের ফলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দেখা দিচ্ছে। এসব পরিস্থিতিতে সমাজে নানা ধরনের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকে। তাই ছেলে-মেয়েরা নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাই সমাজে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, নারী নির্যাতনসহ অনেক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।</p> <p>অতত্রব বলা যায় যে উদ্দীপকে সামাজিক নৈরাজ্যের প্রতিফলন ঘটেছে।</p> <p>ঘ) সমাজের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সামাজিক নৈরাজ্য সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। আজ জীবনের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নৈরাজ্যের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। তাই প্রাথমিক পর্যায়ই এই সমস্যার সমাধানে প্রচেষ্টা চালানো দরকার।</p> <p>উদ্দীপকে কাজল প্রতিদিন পত্রিকা পড়ে বাংলাদেশের সামাজিক নৈরাজ্যের সংবাদ দেখতে পায়। সে এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কথা ভাবতে থাকে। তাই সামাজিক নৈরাজ্য প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রয়োজন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা দরকার। তাহলে জনগণ অনেক সচেতন হতে পারবে। নৈরাজ্য প্রতিরোধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি রোধে কর্মক্ষেত্রে জবাবদিহি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে হবে। সমাজের হিংসাত্মক কার্যক্রম রোধে সচেতনতা হবে। সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই বলা যায় যে, সমাজবাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ওই সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।</p>