<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোনোভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন আইন হয়েছে। মহাসড়কে শ্লথগতির যানবাহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডিভাইডার বসানো হয়েছে। এর পরও সড়ক দুর্ঘটনা থেমে নেই। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। কত পরিবার যে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে নিঃস্ব হয়ে গেছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বহু অনিয়ম ঘটে রাস্তায়, যেসব কারণে রাস্তায় মৃত্যুর মিছিল লেগেই আছে। যাদের এসব নিয়ন্ত্রণ করার কথা, তারাও উদাসীন। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক, মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনগণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ইত্যাদি কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করেন সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। ফলে এসব দুর্ঘটনাকে অনেকেই দুর্ঘটনা না বলে হত্যাকাণ্ডই বলে থাকেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বুধবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নাজিরবাজারের কুতুবপুরে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহতদের সবাই পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেছে বাবা ও ছেলে। বগুড়ার আদমদীঘিতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক বাইসাইকেল আরোহী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত ১ জুন টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানের চালক ও আরোহী স্বামী-স্ত্রী, ছেলেসহ চারজন নিহত হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের সড়ক-মহাসড়কে এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে, যেগুলোকে দুর্ঘটনা না বলে হত্যাকাণ্ডও বলা যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় মূল্যবান প্রাণহানিকে কেবলই দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার কোনো কারণও নেই। অনেক দুর্ঘটনাই চালকের ভুলে ঘটে থাকে। সড়কের এই নিরাপত্তাহীনতা কি চলতেই থাকবে? </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নানা ব্যবস্থা নেওয়ার পরও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে দেশজুড়ে। আমাদের দেশে চালকদের বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় তাঁদের অনেকেই আধুনিক সড়ক নির্দেশনা বুঝতে অক্ষম। ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। গাড়িচালকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তত এসএসসি নির্ধারণ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিক আইন ও নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরাও ট্রাফিক আইন ও নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবে। আদালতের সেই নির্দেশনা কি মানা হচ্ছে? মালিকরাও সাধারণত চালকের দক্ষতা, কল্যাণ ও শৃঙ্খলার প্রতি উদাসীন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা কোনো মতেই এমন অনিরাপদ সড়ক চাই না। প্রতিদিনের এই মৃত্যু কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়। যেকোনো মূল্যে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সড়কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। দুর্ঘটনা নামের হত্যাকাণ্ড রোধে সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটাই আমাদের প্রত্যাশা।</span></span></span></span></p>