বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশার কথা যে বৈশ্বিক নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রবাস আয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশে গত বছর রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে অনেক কম, ২.২ শতাংশ। এসেছে ২২ বিলিয়ন ডলার।
বিজ্ঞাপন
একটু পেছন ফিরে তাকালে আমরা দেখব, ২০২০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সপ্তম এবং ২০১৯ সালে অষ্টম। ২০২১ সালেও প্রবাস আয় প্রাপ্তিতে সপ্তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ। ওই বছর প্রবাস আয় এসেছিল দুই হাজার ১৭০ কোটি ডলার। ২০২৩ সালেও এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরেও এই সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার পর থেকে প্রতি মাসেই প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠাতে শুরু করেন। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে যে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, তার ফলেই বৈধ পথে রেমিট্যান্স বেড়েছে। নগদ প্রণোদনাসহ সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণেই বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। গত বছরের মার্চে রেমিট্যান্স আসে ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। এটি ছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের নভেম্বরে এসেছিল ২১০ কোটি ২১ লাখ ডলার। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের মে মাসে ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে।
প্রবাসীরা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছেন। এ অবস্থা ধরে রাখতে হলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য সব ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুন বাজার খুঁজে বের করে সেখানে জনশক্তি রপ্তানি করতে হবে। একই সঙ্গে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে নগদ প্রণোদনা চালু রাখতে হবে।