কম আলোয় পড়া নয়
যখন আমরা কম আলো কিংবা অল্প আলোতে পড়ি, তখন রেটিনার রডকোষগুলো আমাদের দেখতে সাহায্য করে। আবার চোখের অ্যাকোমোডেশন ক্ষমতাও ব্যবহূত হয়। এতে চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়ে যাবে, তখনই দেখা দেবে নানা সমস্যা। ফলে চোখ ব্যথা করবে, ঝাপসাও দেখবে। অন্যদিকে অনেক বন্ধুকে হয়তো বলতে শুনেছ, তার চোখ শুকনো শুকনো লাগে। চোখের শুষ্কতার এ সমস্যাকে ড্রাই আই বলে। এটি কম আলোতে বেশিক্ষণ পড়ার কারণেও হয়ে থাকতে পারে।
পড়ার পরিবেশ চাই খোলামেলা
বই পড়ার জন্য খোলামেলা পরিবেশ বেছে নেবে। বাসার জানালা খুলে দেবে, যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসতে পারে। প্রয়োজনে পর্দা নামিয়ে দিতে পারো, তবে জানালা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। কারণ আবদ্ধ ঘরে পড়লে শারীরিক অস্বস্তিসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তখন ঘরে পর্যাপ্ত আলো থাকে না। ফলে চোখ বড় করে দেখতে হয়। চোখের পাতাও কম পড়ে। একটা সময় খেয়াল করবে, চোখে ঝাপসা দেখছ। আবার একটানা অনেক্ষণ এভাবে চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকলে মাথা ব্যথাও হতে পারে।
খাবার
ছোটবেলায় মায়ের কাছে শুনেছ যে বেশি বেশি শাকসবজি খেলে চোখের দৃষ্টি বাড়ে। ভিটামিন ‘এ’সমৃদ্ধ খাবার চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গাজর, মিষ্টি কুমড়া, সবুজ শাকসবজি, ডিম খেতে পারো। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবেই চোখের রেটিনায় সমস্যা দেখা দেয়। তাই খাবারদাবারে চাই সচেতনতা।
কিছু টিপস
১. যতটা সম্ভব উজ্জ্বল আলোতে পড়ো। প্রয়োজন হলে টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করতে পারো। সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল সাদা আলো বেছে নেওয়াই ভালো।
২. শুয়ে শুয়ে বই পড়ার চেয়ে টেবিলে বসে বই পড়া ভালো। টেবিলে বই পড়লে মেরুদণ্ড সোজা থাকে এবং ঘাড়ে ব্যথা হয় না। অন্যদিকে যারা চশমা পরো তারা পরিষ্কার রুমাল দিয়ে চশমা পরিষ্কার করবে। কোনো অবস্থায়ই চোখে যাতে ধুলাবালি, জীবাণু না যায়।
৩. একটানা বইয়ের দিকে না তাকিয়ে থেকে মাঝেমধ্যে চোখের পাতা ফেলা বা পিট পিট করা ভালো।
৪. চোখ শুকিয়ে আসছে বা ঝাপসা দেখছ মনে হলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুতে পারো। আর জটিলতা এড়াতে ডাক্তারের পরামর্শ নেবে।
অনুলিখন : জুবায়ের আহম্মেদ
মন্তব্য