দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই মেহজাদকে হাঁপাতে হাঁপাতে জিজ্ঞেস করলাম—
: মেহজাদ, মামণি কোথায়?
: কী হয়েছে আপু? হাঁপাচ্ছ কেন!
: আগে বলো, মামণি কোথায়?
: আম্মু তো বেডরুমেই আছে।
কথাটা শোনা মাত্রই বেডরুমে গিয়ে দেখি, আপু আর মামণি বিছানায় বসে বসে কথা বলছে। আমাকে হাঁপাতে দেখে আপু জিজ্ঞেস করল—
: তোর কী হয়েছে?
: আপু...আপু।
: তুই ঠিক আছিস তো! কী হয়েছে! এমন করছিস কেন? মেহজাদ! যা তো, মুনের জন্য পানি নিয়ে আয়!
মেহজাদ আমার জন্য পানি নিয়ে এলো। ঢকঢক করে পানি খেলাম। মামণি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে—
: তোমার কী হয়েছে?
: মামণি, আজ কলেজ থেকে আসার সময় জেরিনের সঙ্গে দেখা।
: তো? জানতে চাইল আপু।
: প্রায় এক মাস পর দেখা।
: কোথায় দেখা হয়েছে? তারপর কী হয়েছে!
: কলেজ থেকে আসার সময়...ও এক রিকশায়, আমি আরেক রিকশায়।
—টেনশন বাড়তে থাকল মামণির।
: ও আমার দিকে তাকিয়ে হাসল। আমিও হাসি দিলাম।
: তারপর? (দুজন প্রবল উত্কণ্ঠা নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।)
: তারপর আর কি। আমি আমার বাসায়, আর ও ওর গন্তব্যে।
: এভাবে হন্তদন্ত হয়ে এলি যে!
: ওমা! ক্লাস করে এতটা পথ এসে চারতলা সিঁড়ি ভেঙে উঠেছি, হয়রান লাগবে না!
: কিন্তু তুই অমন গণ্ডারের মতো মামণিকে খুঁজছিলি কেন! আমার তো আত্মা উড়ে গিয়েছিল।
: ও বাবা! কলেজ থেকে এসে মামণিকে না দেখলে ভালো লাগে!
—তারপর?
: তারপর আমি দৌড়াচ্ছি, আর আমার পেছন পেছন মেহজাদ আপু। স্টোররুমে লুকিয়েও রেহাই পেলাম না।
—কাজী মেহের নিগার, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
রোগী : ডাক্তার সাহেব, শরীরটা ভালো লাগছে না। আর কদ্দিন আছি বলুন তো?
ডাক্তার : তা আপনার শরীর তো বেশ মনে হচ্ছে। কমপক্ষে নব্বই বছর তো বাঁচবেনই।
রোগী : আমার বয়সই তো নব্বই!
ডাক্তার : আজ্ঞে সেটাই বলছিলাম আর কি।
♦ (এবার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য একটা জোকস-ধাঁধা)
একবার একটা নিউট্রন এলো ফাস্ট ফুড শপে। ভরপেট খাওয়াদাওয়া শেষে দোকানি তার দিকে হাসিমুখে বললেন, হেই নিউট্রন! তোমার জন্য চার্জ নেই!
♦ প্রশ্ন : ব্রিটিশ গায়িকা আদেলে কেন রাস্তার ওপাশে গেলেন?
উত্তর : ‘হ্যালো ফ্রম দ্য আদার সাইড’ গাইতে।
♦ ইংরেজি ৮-কে দেখে ইংরেজি অঙ্ক ০ কী বলল? ‘বাহ! তোর বেল্টটা দেখছি দারুণ!’
♦ প্রশ্ন : কোন জিনিসটা লাল এবং দেখতে আপেলের মতো?
উত্তর : একটা লাল আপেল।
প্রশ্ন : এবার বলো, কোন জিনিসটা নীল এবং দেখতে আপেলের মতো?
উত্তর : নীল রং করা একটা লাল আপেল।
সংগ্রহ : আবদুল্লাহ আল ফারুক
মন্তব্য