<p>শিশুদের হরহামেশাই নানা সমস্যা দেখা দেয়। তখন হাতের কাছে ওষুধ না থাকলে নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। শিশুর সাধারণ উপসর্গের জন্য কিছু ওষুধ সব সময় বাসায় রাখা যেতে পারে। কিন্তু অনেকেই জানেন না কী ধরনের ওষুধ হাতের কাছে রাখা যেতে পারে।</p> <p>শিশুদের সচরাচর সমস্যায় বাসায় যেসব ওষুধ রাখা যেতে পারে তা হলো :</p> <p> </p> <p><strong>নাক বন্ধ</strong></p> <p>বিভিন্ন কারণে শিশুর নাক বন্ধ হয়। আর এমনটি হলে Happysol nasal Drop ব্যবহার করতে দিন। এর ব্যবহারবিধি হলো, এক ফোঁটা করে ১ থেকে ৪ বার দুই নাকের ছিদ্রে দিতে হয়। শূন্য থেকে যেকোনো বয়সে দেওয়া যায়।</p> <p> </p> <p><strong>জ্বর</strong></p> <p>শিশুর জ্বর হলে Fast, Renova ও Reset Syp/Drop/Suppository সেবন ও ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১০-১৫ মিলিগ্রাম। এক চামচ সিরাপে থাকে ১২০ মিলিগ্রাম ওষুধ। ১ মিলি ড্রপে থাকে ৮০ মিলিগ্রাম। এ ছাড়া ১২৫ মিলিগ্রাম ও ২৫০ মিলিগ্রাম সাপোজিটরি পাওয়া যায়।</p> <p> </p> <p><strong>পেটে গ্যাস, ব্যথা, অস্থিরতা</strong></p> <p>এসব সমস্যায় ব্যবহার করতে পারেন Simecol Drop. এর ব্যবহারবিধি হলো, দুই বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য ০.৩ মিলি (৫ ফোঁটা) করে ৪ বার দিতে হয়।</p> <p>দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুর জন্য মাত্রা হলো ০.৬ মিলি (১০ ফোঁটা) করে ৪ বার।</p> <p> </p> <p><strong>পাতলা পায়খানা</strong></p> <p>এমনটি হলে Orsaline খাওয়ানো শুরু করুন। এটি সাধারণত আধা লিটার পানিতে তৈরি করতে হয়। ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। পানি কমানো বা বাড়ানো যাবে না।</p> <p>এক বছরের নিচে ৮-১০ চামচ আর এক বছরের ওপরে ১০-২০ চামচ ওরস্যালাইন দিতে হয় প্রতিবার পায়খানার পর।</p> <p> </p> <p><strong>বমির জন্য</strong></p> <p>Domin Syp/Drop দেওয়া যেতে পারে বমির জন্য।</p> <p>এক চামচ সিরাপে থাকে ৫ মিলিগ্রাম, ১ মিলি ড্রপে থাকে ৫ মিলিগ্রাম। প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.২ থেকে ০.৪ মিলি পর্যন্ত দেওয়া যায়। ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর পর খাওয়ার ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর দিতে হয়।</p> <p> </p> <p><strong>আমাশয় ও পাতলা পায়খানা</strong></p> <p>Ziflu Syp এই সমস্যায় বেশ কাজ করে। এর ব্যবহারবিধি হলো, ছয় মাসের নিচে আধা চামচ করে ২ বার। ছয় মাসের ওপরে এক চামচ করে ২ বার ১৪ দিন।</p> <p> </p> <p><strong>অ্যালার্জি, সর্দি, হাঁচি</strong></p> <p>Fenadine 50ml/30ml Syp খেতে দিন। ছয় মাস থেকে দেওয়া যায়। এক চামচে থাকে ৩০ মিলিগ্রাম।</p> <p>ছয় মাস থেকে দুই বছর আধা চামচ করে ২ বার বা এক চামচ একবার। দুই বছর থেকে ১১ বছর এক চামচ করে ২ বার অথবা দুই চামচ করে একবার।</p> <p>১২ বছরের বেশি বয়স ১২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট প্রতিদিন একটি।</p> <p> </p> <p><strong>বাসায় রাখুন</strong></p> <p>♦          নেবুলাইজার মেশিন</p> <p>♦          ব্লাড প্রেসার মেশিন</p> <p>♦          গ্লুকোমিটার</p> <p>♦          ইনহেলার</p> <p>♦          জ্বর মাপার থার্মোমিটার</p> <p>♦          পালস অক্সিমিটার</p> <p>♦          অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন</p> <p>♦          জীবাণুমুক্ত তুলা ইত্যাদি।</p> <p> </p> <p>সংরক্ষণের নিয়মাবলি</p> <p>♦          ওষুধ সব সময় শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন।</p> <p>♦          শুকনো ঠাণ্ডা জায়গায় রাখুন।</p> <p>♦          কিছু ওষুধ ডিপ ফ্রিজে, কিছু ওষুধ নরমাল ফ্রিজে রাখতে হয়।</p> <p>♦          আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বা ভ্রমণে যাওয়ার সময় ওষুধগুলো সঙ্গে রাখুন।</p> <p>♦          যেকোনো প্রয়োজনে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।</p>