পুরনো কাপড়চোপড়ে সচেতন হোন
- শীতের পুরনো জামাকাপড় বের করে তা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ধুয়ে নিন বা কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। কেননা এসব কাপড়ের মধ্যে বিভিন্ন জীবাণু স্পোর বা বীজগুটি থাকতে পারে। এটি সহজেই হাঁচি, সর্দি-কাশির মতো অসুস্থতায় আক্রান্ত করতে পারে। তবে একটু রোদে দিলেই এই স্পোরগুলো মরে যায়।
- উলের সোয়েটার, ভারী চাদর বা জ্যাকেট প্রতিদিন ধোয়া সম্ভব হয় না বলে নিয়মিত একবার রোদে দিন। এতে ঘাম বা ধুলা জমে থাকলে তা দূর হয় এবং ফাঙ্গাস জমতে পারে না। ঘরে তোলার আগে ভালোভাবে ঝেড়ে নিন বা হালকা ব্রাশ করে নিন।
ঠোঁট ফাটলে যা করবেন
- ঠোঁট শুকিয়ে এলে বারবার জিব দিয়ে ভেজাবেন না। তবে ভ্যাসেলিন জাতীয় কিছু একটা মাখতে পারেন।
- দাঁত বা নখ দিয়ে ঠোঁটের চামড়া ছিঁড়বেন না।
- রাতে শোয়ার আগে পুরু করে ক্রিম লাগিয়ে রাখতে পারেন। ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা হাতে ঘষে নিন ঠোঁট দুটি। এতে শুকনো চামড়া দূর হয়ে যাবে।
- প্রতিদিন গ্লিসারিনের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মাখতে পারেন। এতে ঠোঁট হবে বেশি নরম, সুন্দর ও মোলায়েম।
- খুব বেশি মাত্রায় ঠোঁট ফেটে গেলে ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘ই’ ট্যাবলেট খান।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
- শাক-সবজি, ফলমূল বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
সর্দি-কাশি ও মাথা ব্যথায় করণীয়
একটি প্যানে পানি ফোটান। ধোঁয়া ওঠা ফুটন্ত পানিতে এক চামচ হলুদ ও এক চিমটি কর্পূর মিশিয়ে ধোঁয়াটা ইনহেল করুন। ঠাণ্ডা লেগে মাথা ব্যথা হলে তা কমে যাবে।
শিশুর নাক বন্ধ হলে
শীতকালে শিশুদের নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এমন হলে দুই চামচ সরিষার তেলে এক চিমটি কালিজিরা মিশিয়ে হালকা জ্বাল দিন। তেলটা ফুটে উঠলে ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা করে আঙুলে করে শিশুর নাকের দুই পাশে মালিশ করে দিন। আশা করা যায়, এতে রাতে শিশুদের শ্বাস বন্ধ হওয়ার সমস্যা থাকবে না।
শিশুর অ্যাডিনয়েড প্রতিরোধে করণীয়
- ফ্রিজের পানি বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান না করা
- আইসক্রিম জাতীয় খাবার বন্ধ করা
- বিছানার মাথার দিক কিছুটা উঁচু রাখা
- চিত না হয়ে বরং এক কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস করা
- জ্বর, গলা ব্যথা, অ্যালার্জি থাকলে চিকিৎসা করা
- মেঝেতে না শোয়া বা ঠাণ্ডা না লাগানো
- নাকের দেয়াল বাঁকা থাকলে সঠিক চিকিৎসা করা
- পর্যাপ্ত পানি পান, সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা
- স্থূলকায় হলে ওজন কমানোর চেষ্টা করা
- ঘিঞ্জি পরিবেশ এড়িয়ে চলা বা অনেক শিশু একসঙ্গে বসবাস না করা।
মন্তব্য