<p>হৃৎপিণ্ডের রক্তনালির ব্লক নির্ণয় করার নানা পদ্ধতি রয়েছে। তবে সবচেয়ে নিখুঁত ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলো, হাত বা পায়ের ধমনি সুচের মাধ্যমে ফুটো করে একটি সরু ক্যাথেটারের সাহায্যে হৃৎপিণ্ডের ধমনিগুলোকে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান করা, যাকে বলে ‘করোনারি এনজিওগ্রাফি’। এটি একটি ইনভেসিভ পরীক্ষা, তাই রোগীকে ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়।</p> <p>একটি মানসম্পন্ন স্বচ্ছ এনজিওগ্রাম হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু ইদানীং সিটি স্ক্যান মেশিনের সাহায্যে এনজিওগ্রাম করার প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কিছু তথ্য জেনে রাখা ভালো।</p> <p> </p> <p><strong>জানা</strong> <strong>থাকা</strong> <strong>দরকার</strong></p> <p>♦ একটি সাধারণ এনজিওগ্রাম করতে গড়ে ৩০ মিলি ডাই ব্যবহার করতে হয়, যা শরীরের জন্য সহনীয়। কিন্তু একটি সিটি এনজিওগ্রাম করতে গড়পড়তা ১০০ মিলি ডাই প্রয়োজন পড়ে, যা শরীরের জন্য, বিশেষ করে কিডনির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।</p> <p>♦ সিটি এনজিওগ্রামে প্রচুর বিকিরণ শরীরে প্রবেশ করে, যা ভবিষ্যতে নানা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।</p> <p>♦ প্রায়ই দেখা যায়, সিটি এনজিওগ্রাম রিপোর্টে বিভিন্ন মাত্রার ব্লকের উল্লেখ থাকে, যা নিশ্চিত করার জন্য আবার ইনভেসিভ এনজিওগ্রাম করার দরকার পড়ে। তাতে ঝুঁকি ও খরচ দ্বিগুণ হয়ে পড়ে।</p> <p>♦ সিটি এনজিওগ্রামে যেসব রিপোর্ট পাওয়া যায়, পরবর্তী সময়ে ইনভেসিভ এনজিওগ্রামে তা প্রায়ই ভিন্নরূপ দেখা যায়। এ রকমও দেখা যাচ্ছে যে রোগী সিটি এনজিওগ্রাম করে একটি ৯০ শতাংশ ব্লক নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন স্ট্যান্টিং করাতে বা রিং লাগাতে। কিন্তু রিং লাগানোর প্রস্তুতির সময় দেখা যাচ্ছে, সম্পূর্ণ নরমাল ধমনি। এর বিপরীতটাও ঘটছে। অনেক সময় সিটি এনজিওগ্রাম নির্দেশ করছে, ছোট ছোট ব্লক; কিন্তু ইনভেসিভ এনজিওগ্রাম করে দেখা যাচ্ছে বড় বড় ব্লক!</p> <p>♦ মনে রাখতে হবে, সিটি এনজিওগ্রাম কখনোই ইনভেসিভ এনজিওগ্রামের বিকল্প নয়। তাই পারতপক্ষে সিটি এনজিওগ্রাম না করে ইনভেসিভ এনজিওগ্রাম করাই ভালো।</p> <p>লেখক : সিসিইউ ইনচার্জ</p> <p>ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল</p>