<p>ভুল ১ : বেশি মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস হয়।</p> <p>মিষ্টি বেশি খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিস হওয়ার সরাসরি কোনো যোগসূত্র নেই। যারা মিষ্টি কম খান বা একেবারেই খান না, তাদেরও ডায়াবেটিস হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন, শারীরিক পরিশ্রম না করা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, বংশগত কারণে কারো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।</p> <p> </p> <p>ভুল ২ : মিষ্টি ফল খাওয়া যাবে না।</p> <p>ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণ আঁশ, ভিটামিন ও মিনারেল। ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও খুব কম। ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় না। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা প্রতিদিনই তাজা ফলমূল খেতে পারবেন। এতে তেমন বাধা নেই। তবে কিছু কিছু ফল যেমন—আম, কাঁঠাল, কলা, খেজুর ইত্যাদি রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। তাই বলে এসব ফল যে খাওয়া যাবে না তা নয়। বরং পরিমাণমতো খাওয়া যাবে।</p> <p> </p> <p>ভুল ৩ : টক ফল খেতে পারবেন না।</p> <p>অনেকেরই ধারণা, টকজাতীয় ফল খেলে ঘা শুকায় না, বরং পেকে যায়। অথচ অপারেশনের পর ঘা শুকিয়ে ত্বককে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে টক ফলের বিকল্প নেই। টক ফল, বিশেষ করে আমলকী, আমড়া, কাগজিলেবু, বাতাবিলেবু, মাল্টা, কমলা ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’, যা সংযোজক কলার কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে। ভিটামিন ‘সি’ কোলাজেনে অবস্থিত পানির সঙ্গে প্রোলিনের বিক্রিয়া করে হাইড্রোক্সিপ্রোলিন তৈরি করে। এভাবে টক ফল কোলাজেন উৎপাদনকে সহজ করে কাটা বা ক্ষতস্থানকে মাংসপেশির তন্তুতে ভরাট করে ঘা শুকিয়ে ফেলে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের বেশি করে টক ফল খাওয়া উচিত।</p> <p> </p> <p>ভুল ৪ : বেশি পানি পান করা যাবে না।</p> <p>ডায়াবেটিক রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয় দেখে অনেকেই মনে করে থাকেন, তাঁদের কম পানি খেতে হবে। আসলে এমন কোনো নিয়ম নেই। যদি কিডনি সমস্যা না থাকে, তখন তিনি একজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই পানি পান করতে পারবেন। একজন স্বাভাবিক মানুষের জন্য পানির পরিমাণ তার ওজন ও বয়স অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। ডায়াবেটিক রোগীরাও ঠিক ততটুকু পানি খেতে পারবেন।</p> <p> </p> <p>ভুল ৫ : ডায়াবেটিক রোগীদের স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে যায়।</p> <p>এ কথাটি মোটেও সত্যি নয়। একজন ডায়াবেটিক রোগী ইচেচ্ছ করলে সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবন যাপন করতে পারেন যদি তিনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেন। বরং নিয়ন্ত্রণে না রাখলে জটিল কিছু রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা, চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনে নিয়মিত ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে একজন ডায়াবেটিক রোগীও আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবন যাপন করতে পারবেন।</p> <p> </p>