<p>সুইডেনের ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোটের সদস্য হতে এখন শুধু হাঙ্গেরির অনুমোদন বাকি রইল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান তাঁর দেশের পার্লামেন্টে সুইডিশ আবেদন অনুমোদনের সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেছেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের স্বাক্ষরের মাধ্যমে সুইডেনের ন্যাটোভুক্তিতে তুরস্কের দিক থেকে সব পদক্ষেপ শেষ হলো। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনুমোদনে স্বাক্ষরের জন্য এরদোয়ানের হাতে সময় ছিল ১৫ দিন। তার পরও মাত্র এক দিনের মাথায় তিনি এত দ্রুত নথিতে স্বাক্ষর করেন।</p> <p>এর দুটি কারণের কথা বলা হচ্ছে—প্রথমত, তুর্কি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ছিল একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র এবং দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি এগিয়ে নেওয়া। এরদোয়ান নিজে সুইডেনের ন্যাটোতে  যোগদানের সমর্থন দেওয়ার শর্ত হিসেবে এই যুদ্ধবিমান পাওয়ার দাবি করেছিলেন। তবে সুইডেনকে ন্যাটোর পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য জোটের বাকি সদস্য হাঙ্গেরিকেও সমর্থন দিতে হবে। দেশটির পার্লামেন্ট ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতকালীন ছুটিতে রয়েছে। তবে সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য চাইলে বিশেষ ভোটের জন্য অধিবেশন ডাকা যেতে পারে। হাঙ্গেরির বিরোধী দলগুলো বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের জন্য গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করলেও স্পিকার বিষয়টি ‘জরুরি নয়’ এ যুক্তি দিয়ে নাকচ করে দিয়েছেন।</p> <p>হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান গত বুধবার ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গকে আশ্বস্ত করে বলেন, তাঁর সরকার সুইডেনের সদস্য পদ লাভের আবেদনটি সমর্থন করে এবং তিনি পার্লামেন্টকে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ এটি অনুমোদন করার আহবান<br /> জানিয়েছেন।  এ ব্যাপারে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, সুইডেন ‘খুব শিগগিরই’ ন্যাটোর সদস্য হবে। তিনি বলেন,  ‘আমি বেড়ানোর জন্য হাঙ্গেরিতে অবশ্যই যেতে পারি, তবে ন্যাটোর সদস্য পদ নিয়ে আলোচনা করতে নয়।’</p>