আফগানিস্তানে নারী অধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে এবং নারীদের ওপর ‘পদ্ধতিগত নিপীড়ন’ বন্ধে অন্যান্য মুসলিম দেশের দিকে তাকাতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল বাশিলিত।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, ‘ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নারী অধিকার এগিয়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতা যেসব দেশের রয়েছে, তাদের সঙ্গে কাজ করতে আমি (আফগানিস্তানের) বর্তমান কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। ’
গতকাল শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বক্তৃতাকালে বাশিলিত নারী অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে তালেবানের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গত বছরের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর নারীরাই তাঁদের অধিকার সবচেয়ে বেশি হারিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
চলতি বছরের মার্চ মাসেই আফগানিস্তান পরিদর্শন করেন বাশিলিত। সফর শেষে তিনি বলেন, ১০ লাখের বেশি মেয়ের মাধ্যমিক স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছে। নারীদের জন্য চাকরি ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পর তালেবান তাদের আগের শাসনের তুলনায় কঠোরতা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল। বলেছিল, শরিয়াহ আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নারী অধিকার ও তাদের মানবাধিকারের দায়বদ্ধতাকে দলটি সম্মান করবে। এমন আশ্বাসের পরও মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বাশিলিত।
এদিকে একই দিনে বক্তব্য দিয়েছেন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। রাজধানী কাবুলে ধর্মীয় নেতাদের এক বৈঠকে পুরো বিশ্বের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিষয়ে বিশ্ব কেন হস্তক্ষেপ করছে?’ কোনো সফল ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য শরিয়াহ আইনই একমাত্র মডেল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বলা হচ্ছে—আমরা এটা কেন করছি না, ওটা কেন করছি না। পুরো বিশ্ব কেন আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ করছে?’
তালেবান আফগানিস্তান দখলের পর থেকে হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকে কখনো জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তাঁর কোনো ভিডিও বা ছবিও সামনে আসেনি। সূত্র : এএফপি