উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা সরকারি হিসাবেই আট লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে গতকাল রবিবার ‘জ্বরে’ আক্রান্ত হয়ে আরো ১৫ জনের মৃত্যু হওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কথা সরকারিভাবে প্রথম স্বীকার এবং সারা দেশে লকডাউন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিন পর অবস্থা এ জায়গায় এসেছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ গতকাল জানায়, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কেসিএনএন আরো জানায়, দেশের সব প্রদেশ, শহর ও কাউন্টিগুলো সম্পূর্ণ লকডাউনে রয়েছে। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্র, উৎপাদনক্ষেত্র ও আবাসিক এলাকাগুলো পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সরকার শনাক্তের তথ্য প্রকাশ করার পর উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন বিষয়টিকে ‘মহা বিপর্যয়’ আখ্যা দেন।
পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নাজুক স্বাস্থ্যব্যবস্থা দেশটিকে করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে টিকাদানের ব্যবস্থা ও গণপরীক্ষার সক্ষমতা নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, চীনসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে ওমিক্রণের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় সেখানেও তা ছড়িয়ে পড়া সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র। শেষমেশ তাই হলো।
গত বৃহস্পতিবার প্রথম রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে করোনার ওমিক্রণ ধরনে আক্রান্ত এক রোগী পাওয়ার কথা জানায় উত্তর কোরীয় সরকার। পরে জরুরি বৈঠকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন শীর্ষ নেতা কিম জং উন।
ভারতে পাঁচ দিন পর সংক্রমিত কমেছে
ভারতের দৈনিক করোনা সংক্রমণ গত পাঁচ দিনের মধ্যে গতকাল রবিবার প্রথম আড়াই হাজারের নিচে নেমেছে। গতকাল দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৪৮৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এই সময়ে সারা দেশে মারা গেছে ৫৪ জন। সূত্র : এএফপি ও আনন্দবাজার পত্রিকা