বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বলেছে, তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর বিদেশি তহবিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আফগানিস্তানে মৌলিক এবং জীবন রক্ষাকারী প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাগুলো মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
এদিকে পশ্চিমা কূটনীতিকরা আফগানিস্তানের নরওয়ে সফররত তালেবান প্রতিনিধিদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির শর্ত দিয়েছেন। গত বছর নুতন করে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তালেবান প্রতিনিধিদলের প্রথম ইউরোপ সফর মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
ডাব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আফগান জনগণের স্বাস্থ্য এখন মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সৈন্য আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে কট্টরপন্থী তালেবান দেশটির ক্ষমতা নেয়। এরপর দেশটিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যায়। আফগান অর্থনীতি প্রায় পুরোপুরি আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তালেবান সরকারকে এখনো পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি কোনো দেশ। স্বীকৃতি না দিয়ে কিভাবে দেশটির জনগণকে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে বিপাকে দাতারা। ডাব্লিউএইচও বলেছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আফগানিস্তানের লাখ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়। সেহাতামান্ডি নামের স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মেরুদণ্ড। এটি ৩৪টি প্রদেশে দুই হাজার ৩৩১টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দিয়ে থাকে। ৬৪ শতাংশ জনগণ এই সেবার আওতায় রয়েছে।
তালেবানশাসিত আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা স্বাস্থ্য খাতে আরো সহায়তা পেতে কাজ করছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে যে সহায়তা দেওয়া হয়, তা যদি জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বিতরণ করা না হয়, তবে সংকট আরো বাড়তে পারে। ’
এদিকে মঙ্গলবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে সর্বশেষ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে তালেবান প্রতিনিধিদল। বৈঠকে পশ্চিমা কূটনীতিকরা তালেবানের কাছ থেকে কী কী আশা করেন, তা তুলে ধরেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আফগানিস্তানবিষয়ক বিশেষ দূত টমাস নিকলেসন টুইটে বলেন, আগামী মার্চে আফগানিস্তানে শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। এর মধ্যে দেশজুড়ে ছেলেমেয়েদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খুলে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সূত্র : এএনআই