<p>কভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা রোগীদের রক্তের প্লাজমা ব্যবহার করে হালকা বা মাঝারি উপসর্গের রোগীদের চিকিৎসা না করার ‘দৃঢ় সুপারিশ’ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। গতকাল মঙ্গলবার সংস্থাটি এ পরামর্শ দিয়েছে।</p> <p>মহামারির শুরুর দিকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ধারণা করা হচ্ছিল, কভিড-১৯ থেকে দ্রুত সেরে ওঠা রোগীদের প্লাজমা (কনভালেসেন্ট প্লাজমা) নতুন আক্রান্ত রোগীদের শিরায় দেওয়া হলে কিছু ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।</p> <p>কিন্তু ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত পরামর্শে ডাব্লিউএইচও বলছে, বর্তমান পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এটি রোগীদের টিকে থাকার কোনো সুযোগ তৈরি করে না, ভেন্টিলেশন যন্ত্রের (কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করা) প্রয়োজনীয়তাও কমায় না, বরং প্লাজমা চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।</p> <p>এ ধরনের চিকিৎসা না দিতে ‘দৃঢ় সুপারিশ’ করছে ডাব্লিউএইচও। সংস্থাটির মতে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে যাদের গুরুতর কোনো সমস্যা নেই, তাদের প্লাজমা চিকিৎসা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এমনকি যাদের গুরুতর সমস্যা রয়েছে কিংবা মারাত্মক অসুস্থতা রয়েছে, তাদেরও এই চিকিৎসা দেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন নেই। শুধু ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। সূত্র : এএফপি।</p>