<p>হংকং ইস্যুতে সম্প্রতি চীনের কর্মকর্তাদের ওপর দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব দিল বেইজিং। গত শুক্রবার বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের সাত কর্মকর্তা ও কয়েকটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যানের চীন সফরের কথা রয়েছে। এর আগেই বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা এলো।</p> <p>এই নিষেধাজ্ঞায় সাবেক মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রসের নামও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি চীনের টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ে, জেডটিইসহ একাধিক কম্পানির বিরুদ্ধে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছিলেন।</p> <p>এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চীন বিষয়ক পরিচালক সোফি রিচার্ডসন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের প্রধান ক্যারোলিন বার্থোলোমিউ ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের অ্যাডাম কিং।</p> <p>শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হংকংয়ের ব্যাবসায়িক পরিবেশ নষ্ট করার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের পদক্ষেপকে ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং যেসব মৌলিক নীতির ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালিত হয়, সেসবের চরম লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করা হয়। এর জবাবে মার্কিন কর্মকর্তা ও সংস্থাগুলোর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।</p> <p>চীনের নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি। তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার জন্য বেইজিং কিভাবে সাধারণ মানুষ, প্রতিষ্ঠান ও মানবাধিকার সংগঠনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, এই নিষেধাজ্ঞা তার সাম্প্রতিক উদাহরণ।’</p> <p>হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলন দমনে গত বছর জুলাইয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করা হয়। এই আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, বিদ্রোহ ও বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অপরাধে দোষী সাব্যস্তদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। চীনের এসব দমননীতির পরিপ্রেক্ষিতে হংকংয়ে চীনা কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নে তাঁদের ভূমিকা ছিল। শহরটিতে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির বিষয়ে মার্কিন ব্যবসায়ীদের সতর্কও করা হয়।</p> <p>সূত্র : এএফপি।</p>