<p>ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে যুক্তরাজ্যের করোনা পরিস্থিরি অবনতি ঘটেছে। ইউরোপের দেশটির বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডেল্টা ধরনটি ছড়িয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।</p> <p>গত বছরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে করোনার অতিসংক্রামক ধরন আলফা প্রথম শনাক্ত হয়। এই ধরন নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। তবে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন, আলফা ধরনের চেয়েও ডেল্টা নিয়ে উদ্বেগ বেশি। ডেল্টার প্রভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।</p> <p>এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়েই ডেল্টা ধরন নিয়ে বেশি উদ্বেগ আছে বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তবে এই ধরনটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেশি—এমন প্রমাণ এখনো মেলেনি। তবে অতিসংক্রামক ধরনটিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।</p> <p>যুক্তরাজ্যের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ডেল্টা সংক্রমিত ২৭৮ রোগী। গত সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল। আক্রান্তের বেশির ভাগই আগে টিকা গ্রহণ করেনি।</p> <p>যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থার প্রধান নির্বাহী জেনি হ্যারিস বলেন, যুক্তরাজ্যে এখন ডেল্টা ধরন আধিপত্য বিরাজ করছে। এ জন্য যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মানা দরকার।</p> <p><strong>ডেল্টা ঠেকাতে কম কার্যকর ফাইজার টিকা</strong></p> <p>করোনার মূল ধরনের তুলনায় ডেল্টা ধরনকে ঠেকাতে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা এক-পঞ্চমাংশ  কার্যকর। সম্প্রতি এসংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধ বিখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফাইজারের পূর্ণ ডোজ নিয়েছে, এমন ২৫০ ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।</p> <p><strong>‘</strong><strong>টিকা নেওয়ার পর আক্রান্ত হলেও হচ্ছে না মৃত্যু</strong><strong>’</strong></p> <p>ভারতে টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হলেও মৃত্যুহার শূন্য বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। গত এপ্রিল-মে মাসের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে অলইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস)।</p> <p>এর যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানায়, করোনার টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর অসুস্থ বা হাসপাতালে ভর্তি কিংবা মৃতের সংখ্যা খুবই কম। সিডিসির দাবির ভিত্তিতেই গবেষণা চালিয়ে এইমস জানাচ্ছে, এপ্রিল থেকে মে-ভারতে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে নেওয়া অনেক ব্যক্তিই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের শরীরে ভাইরাল লোডের পরিমাণও অনেক বেশি ছিল, কিন্তু তাদের কারো মৃত্যু হয়নি।</p> <p>এইমস জানিয়েছে, টিকা নেওয়ার পর কভিডে আক্রান্ত হয়েছে, এমন ৬৩ জন ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তাদের নিয়ে গবেষণা চালানোর সময়ে কার শরীরে কোন প্রজাতি বাসা বেঁধেছে, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩৬ জন দুটি টিকাই পেয়েছে এবং ২৭ জন প্রথম টিকা পেয়েছে। তাদের শরীরে পাঁচ-সাত দিন টানা জ্বর থাকলেও অবস্থা স্থিতিশীলই ছিল। তারা ফের আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে ফের অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে এবং তার সঙ্গে টিকা মিশে একটা যৌথ প্রতিরোধ গড়ে উঠছে শরীরে। সূত্র : এনডিটিভি।</p>