<p>অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ব্রিটেনের পর এবার নিউজিল্যান্ডও হংকংয়ের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি বাতিল করেছে। জবাবে চীন সরকার জানিয়েছে, হংকংও প্রত্যাবাসন চুক্তি বাতিল করবে।</p> <p>হংকং ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন পদক্ষেপকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চরম হস্তক্ষেপ’ অভিহিত করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, বিচার বিভাগীয় সহযোগিতার ব্যাপারে রাজনৈতিক চাতুরী করেছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। এটাকে ভুল অভিহিত করে তিনি জানান, হংকংও ওই সব দেশের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করবে।</p> <p>স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ে গত ১ জুলাই বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করে চীন সরকার। ওই আইন হংকংবাসীর স্বাধীনতা খর্ব করেছে—বিশ্বজুড়ে এমন সমালোচনা চলছে আইনটি কার্যকর হওয়ার শুরু থেকেই। চীন সরকারের এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলো হংকংবাসীর সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিতে থাকে। তাদের জন্য ভিসার মেয়াদ বাড়ানো, শরণার্থী মর্যাদা প্রদান, এমনকি শর্তসাপেক্ষে নাগরিকত্ব প্রদানের সুযোগও সৃষ্টি করা হয়। এসবের পাশাপাশি যোগ হয় প্রত্যাবাসন চুক্তি বাতিলের পদক্ষেপ। তাদের যুক্তি, ওই চুক্তি অনুসারে কাউকে হংকংয়ে ফেরত পাঠালে তাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনবলে চীনের মূল ভূখণ্ডে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা জুলাইয়ের শুরুতেই হংকংয়ের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি বাতিল করে। ব্রিটেন একই পদক্ষেপ নেয় গত সপ্তাহে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ড প্রত্যাবাসন চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয়। বলা দরকার, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড ও সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ফাইভ আইস শীর্ষক গোয়েন্দা সহযোগিতা বিষয়ক জোটের সদস্য।</p> <p>হংকংয়ের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটারস বলেন, ‘চীন আইনের শাসনের নীতিমালার অবক্ষয় ঘটিয়েছে, হংকংকে অনন্য মর্যাদা দানকারী এক দেশ দুই নীতি ধ্বংস করে দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কাছে করা অঙ্গীকারের বিরুদ্ধে গেছে।’ সূত্র : বিবিসি, এএফপি।</p>