<p>বাদশাহ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দুজনের আটক হওয়া আর বাদশাহ সালমানের অসুস্থতার খবর চাউর হওয়া, দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে পর্যবেক্ষকদের দৃঢ় ধারণা, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সিংহাসনে আরোহণ নিশ্চিত করার জন্যই ধরপাকড়ের আশ্রয় নিয়েছেন।</p> <p>যুবরাজ মোহাম্মদ এ মাসের শুরু থেকে রাজপরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চালাচ্ছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার তিনি ছোট চাচা প্রিন্স আহমেদ বিন আব্দুল আজিজ ও সাবেক যুবরাজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন নায়েফকে আটক করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান পরিকল্পনার জেরে তাঁদের আটক করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে, এমনকি অভ্যুত্থানচেষ্টা আসলেই হয়েছে কি না, সেটা নিয়েও রয়েছে নানা মত। শুধু একটা ব্যাপারে বিশ্লেষকরা নিশ্চিত—এমবিএসখ্যাত যুবরাজ সব কিছুই করছেন সিংহাসন পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে। প্রিন্স আহমেদ ও নায়েফের আটকের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের এমন ধারণা আরো দৃঢ় হয়েছে। কারণ ধারাবাহিতার বিচারে বাদশাহ হওয়ার দৌড়ে এ দুজনই সবচেয়ে এগিয়ে। ক্ষমতার দৌড়ে প্রিন্স আহমেদের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রয়াত বাদশাহ আব্দুল্লাহর সাবেক এক উপদেষ্টা জানান, বাদশাহ সালমান প্রতি বছরই একবার করে ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদকে প্রাসাদে ডেকে নেন এবং যুবরাজ মোহাম্মদের বাদশাহি নিশ্চিত করার জন্য ছোট ভাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ব্যক্তি জানান, গত মাসেও প্রিন্স আহমেদকে প্রাসাদে ডেকেছিলেন বাদশাহ সালমান।</p> <p>আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী নায়েফের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা গ্লেন কার্ল জানান, আমেরিকান আর ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে নায়েফের সুসম্পর্ক আছে। বিতর্কিত যুবরাজ মোহাম্মদের চেয়ে নায়েফই তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য। প্রিন্স আহমেদ আর নায়েফের মত শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবরাজ যদি বাদশাহ মৃত্যুর আগেই নিজের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে না পারেন, তবে পরিস্থিতি তাঁর প্রতিকূলে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই যুবরাজ তৎপরতা শুরু করে থাকতে পারেন বলে মনে করেন কার্ল। সূত্র : আলজাজিরা।</p>