<p>সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সিংহাসনে আরোহণের পথ সুপ্রশস্ত করার লক্ষ্যেই রাজপরিবারের প্রভাবশালী তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন সৌদি ভাষ্যকার ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এমবিএস নামে পরিচিত সালমানের পথের কাঁটা দূর করা হলো।</p> <p>গত শুক্রবার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বাদশাহ সালমানের ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুলআজিজ আল-সৌদ, ভাইপো প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও নায়েফের ছোট ভাই প্রিন্স নওয়াফ বিন নায়েফকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।</p> <p>সৌদি রাজদরবার সূত্র মতে, সৌদি বাদশাহ এবং ক্রাউন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালানোর দায়ে তিনজনকেই যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করে, এর অর্থ হচ্ছে সিংহাসন দখলে মোহাম্মদ সালমানের রাস্তা এবার নিষ্কণ্টক হলো। সৌদির কয়েকজন বিশ্লেষক বলেছেন, সিংহাসন দখল নিয়ে ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে বাদশাহর পরিবারের মধ্যে যে বিরোধ চলে আসছে এ ঘটনায় সেটাই আরো প্রকট হলো।</p> <p>বাদশাহ সালমানের বয়স এখন ৮৪  বছর। ২০১৬ সালে ক্রাউন প্রিন্সের নাম ঘোষণার পর থেকে এমবিএসই কার্যত সৌদির অঘোষিত শাসক হিসেবে সৌদির অর্থনীতি থেকে প্রতিরক্ষা সব বিষয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। গুঞ্জন রয়েছে, বাদশাহর শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো নেই। এ অবস্থায় এমবিএসের সিংহাসনে বসার ঘটনাটি বেশি দূরে নেই। এসব গুঞ্জনের মধ্যেই গতকাল সৌদি কর্তৃপক্ষ বাদশাহের একটি ছবি প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, বাদশাহ রাজকর্তব্য পালন করছেন।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের একটি নীতি বিশ্লেষক সংস্থার বেকা ওয়েসার বলেন, ‘ক্রাউন প্রিন্সের এই পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবেই নিজের একচ্ছত্র ক্ষমতা ধরে রাখতে।’</p> <p>পশ্চিমা এক কর্মকর্তা সৌদি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেন, ‘রাজপরিবারের ওই লোকগুলোকে সরানোর পরে ক্রাউন প্রিন্সের ক্ষমতায় আরোহণের পথে আর কোনো বাধা থাকল না।’ সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট, এএফপি।</p>