উত্তর আটলান্টিক সামরিক জোটের (ন্যাটো) নেতারা চেয়েছিলেন গতকাল বুধবার তাঁদের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন ঐক্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শেষ করতে। কিন্তু তুরস্কের সঙ্গে বিবাদ মীমাংসা না হওয়ায় হতাশা ঝরল ন্যাটোপ্রধানের কণ্ঠে। শুধু তা-ই নয়, গত বছরের শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে বৃহত্তর ইউরোপের প্রতিরক্ষা খরচ দাবি করে ন্যাটোকে লাইনচ্যুত করেছিলেন, এবার সেখানে উসকানিদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এমন টানাপড়েনের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শুরু হয়, যা সংস্থাটির ৭০তম জন্মদিন উদ্যাপনকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করার হুমকিতে ফেলেছে। লন্ডনে বিলাসবহুল রিসোর্টে শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে তিন ঘণ্টার আলোচনায় সাইবার অ্যাটাক ও চীনের বিষয়ে কৌশলগত চ্যালেঞ্জের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাগত ভাষণে স্বাগতিক দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সদস্যদের স্মরণ করিয়ে দেন যে এই সামরিক জোটের নীতি হচ্ছে ‘সবার জন্য প্রত্যেকে এবং একজনের জন্য সবাই’ (ওয়ান ফর অল, অ্যান্ড অল ফর ওয়ান)। কিন্তু মতপার্থক্য ছিল প্রায় সবার কণ্ঠে। বিবিসির প্রতিরক্ষা প্রতিনিধি জোনাথন বিল বলেন, এবার খুবই সুপরিকল্পিত সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল ঐক্য প্রদর্শন, কিন্তু নেতারা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে গভীর মতপার্থক্য আড়াল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর মতে, ২৯ রাষ্ট্রের এই ব্লকটির ভবিষ্যৎ নিয়ে যদিও কোনো সন্দেহ নেই, তবু উত্তর সিরিয়ায় সদস্য রাষ্ট্র তুরস্কের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে অনৈক্য স্পষ্ট। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
মন্তব্য