বৃহস্পতিবার । ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯। ২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৬। ৭ রবিউস সানি ১৪৪১
চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বলেছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করার ব্যাপারে বেইজিংয়ের আগ্রহের কমতি নেই। তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত হতেও তিনি ভয় পান না। এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় মার্কিন যুদ্ধজাহাজের টহল দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেইজিং।
একে অপরের পণ্যে পাল্টাপাল্টি আমদানি শুল্ক আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এক ধরনের বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। বিরোধ মেটাতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশ। কিন্তু গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, একটা চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ছাড় দেওয়ার যে মানসিকতা দরকার, তা চীনের নেই। এ কারণে চুক্তির উপসংহারে পৌঁছানো যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ অবস্থায় বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে গতকাল শুক্রবার প্রথমবারের মতো সরাসরি মন্তব্য করলেন চিনপিং। চীনের গ্রেট হল অব পিপলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কর্মকর্তা ও বিদেশি কূটনীতিকদের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বরাবরই বলে আসছি যে আমরা বাণিজ্যযুদ্ধ চাই না। তবে বাণিজ্যযুদ্ধে আমরা ভয়ও পাই না। যখন প্রয়োজন পড়বে, আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। কিন্তু বাণিজ্যযুদ্ধ যাতে থামানো যায়, আমরা এখন সেদিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।
গত ১১ অক্টোবর ট্রাম্প ঘোষণা করেন, চুক্তির প্রথম ধাপ প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এরপর প্রায় দেড় মাস পার হয়ে গেলেও দুই দেশের মধ্যে কার্যত কোনো চুক্তি হয়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চীনকে আগের চেয়ে বেশি মার্কিন পণ্য কিনতে হবে।
এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্র ‘উসকানিমূলক তৎপরতা’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বেইজিং।
মার্কিন নৌবাহিনী জানায়, গত বুধবার ‘ইউএসএস গ্যাব্রিয়েল গিফোর্ড’ নামের তাদের একটি যুদ্ধজাহাজ স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের মিসশেফ রিফ এলাকায় টহল দিয়েছে। পরদিন প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় টহল দিয়েছে ‘ইউএসএস ওয়েনি ই মেয়ার’ নামের আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে গতকাল চীনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নৌ টহলের স্বাধীনতার অজুহাতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় বিচরণ করেছে, যা অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের উসকানিমূলক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত কিছু এলাকার পুরোটাই নিজেদের দাবি করে আসছে বেইজিং। কিন্তু ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও তাইওয়ানও কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি করছে। সূত্র : এএফপি।
মন্তব্য