<p>হংকংয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা রোধে দেশটির সরকার মুখোশ নিষিদ্ধের পর ইন্টারনেটের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। গতকাল সোমবার দেশটির ক্যাবিনেট সদস্য ইপ কোক হিম এ তথ্য জানিয়েছেন। আন্দোলনের কারণে গত তিন দিন হংকংয়ের রেল সেবা এবং ব্যবসাকেন্দ্রগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ায় এ আশঙ্কার কথা জানান কোক হিম। এদিকে মুখোশ নিষিদ্ধের আইন অমান্য করায় গতকাল দুই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়।</p> <p>সরকারবিরোধী এই আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের কাছে ইন্টারনেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আন্দোলনের কোনো নেতা না থাকায় তারা ইন্টারনেট এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আন্দোলনকে সংগঠিত করে চলেছে। সোমবার রেডিও সাক্ষাৎকারে হংকংয়ের নির্বাহী পরিষদের সদস্য কোক হিম বলেন, ‘এই পর্যায়ে দাঙ্গা বন্ধ করতে সরকার সব ধরনের বৈধ ব্যবস্থার কথা বিবেচনা করছে। আমরা ইন্টারনেট নিষিদ্ধের বিষয়টি বাতিল করে দিচ্ছি না।’</p> <p>অপরাধীদের চীনে হস্তান্তরের সুযোগ রেখে আনা বিলকে কেন্দ্র করে হংকংয়ে জুনে শুরু হওয়া আন্দোলন ক্রমেই সহিংস রূপ নিচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার দেশটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম আন্দোলনকারীদের মুখোশ ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর ঔপনেবেশিক সময়ের জরুরি আইন জারি করেন। প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম বলেন, ‘আন্দোলন বন্ধ করার জন্য মুখোশ নিষিদ্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছিল।’ এদিকে গত শুক্রবার মুখোশ নিষিদ্ধের পর এই প্রথম দুই মুখোশধারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং অন্যজন ৩৮ বছর বয়সী এক নারী। তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মুখোশ ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি সমাবেশেরও অভিযোগ করা হয়েছে। সূত্র : এএফপি।</p>