ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

ভারত-রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও সামরিক চুক্তি

  • আতাউর রহমান কাবুল
notdefined
notdefined
শেয়ার
ভারত-রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও সামরিক চুক্তি

ইউরোপ মহাদেশের বেশির ভাগ দেশ নিয়ে গঠিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও শীর্ষ পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র একযোগে রাশিয়ার ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছিল। ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্রিমিয়ার রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে যোগ দেওয়া এবং দেশটির আরো দুটি অঞ্চলে স্বাধীনতা আন্দোলনে বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও রসদ দিয়ে মদদ দেওয়ার অভিযোগে রাশিয়াকে বিশ্ব দরবারে প্রায় একঘরে করে ফেলেছিল তারা। এতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকির মুখে পড়ে রাশিয়া।

সে অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পুরনো বন্ধু ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে উদ্যোগী হয় রাশিয়া।

এশিয়ার মধ্যে ভারতই রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। সাবেক সোভিয়েত আমল থেকেই ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো। প্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে সখ্য থাকলেও কৌশলগত দিক থেকে ভারতকেই বেশি কাছে পেতে চায় রাশিয়া। সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে ডিসেম্বরের শুরুতে ভারত সফর করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ওই সময় পরমাণুসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা করে ভারত ও রাশিয়া। এরই অংশ হিসেবে ২৪ ডিসেম্বর ১৬তম ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া সফর করেন নরেন্দ্র মোদি। ২০০০ সাল থেকে এই শীর্ষ সম্মেলন পর্যায়ক্রমে মস্কো ও দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ভারতে দুটি পরমাণু চুল্লি স্থাপনসহ ক্রেমলিনে এই সফরকালে মোট ১৬টি চুক্তি সই করেন দুই দেশের প্রধানরা।

চুক্তিতে যা রয়েছে

চুক্তিগুলোতে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে পারমাণবিক শক্তি, জ্বালানি, বিদ্যুত্, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাত। এর মধ্যে ১১টি চুক্তি সরকারি স্তরে, বাকিগুলো বেসরকারি পর্যায়ে হয়েছে। ৭০০ কোটি ডলারের এসব চুক্তির বেশির ভাগই প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত। গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে—তামিলনাড়ুর কুদানকালামে দুটি পরমাণু চুল্লি স্থাপনে রাশিয়ার সহযোগিতা। রাশিয়ার সাহায্যে ইতিমধ্যে ভারতে দুটি পরমাণু চুল্লি স্থাপন করা হয়েছে।

এ ছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ২০০টি কামোভ-২২৬টি মডেলের হেলিকপ্টার নির্মাণ করবে ভারত। একটি পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন কেনার ব্যাপারেও চুক্তি হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে তেল ও গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রেও এগিয়ে যেতে চায় ভারত। অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশ দুটির দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ আগামী ১০ বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে আগ্রহী। বর্তমানে এ বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলার।

পরমাণু বিদ্যুত্ উত্পাদন বাড়াতে চায় ভারত

ভারতে তার প্রচলিত শক্তির ভাণ্ডার ফুরানোর আগেই পরমাণু বিদ্যুত্ উত্পাদন বাড়াতে চায়। এ জন্য নতুন জায়গায় পরমাণু চুল্লি নির্মাণ না করে এখনকার পরমাণু চুল্লিগুলোই প্রসারিত করার চিন্তাভাবনা করছে তারা। এতে একদিকে যেমন নতুন পরিকাঠামো তৈরির খরচ বাঁচবে, অন্যদিকে নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা যাবে। এখন দেশের ছয়টি জায়গায় পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণকাজ চলছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের জৈতাপুর, অন্ধ্র প্রদেশের কোভাড্ডা ও গুজরাটের মিথি বির্ধি অন্যতম। এই তিনটির প্রতিটির ক্ষমতা হবে (১০০০ মেগাওয়াট ী ৬)। এগুলো তৈরি হলে বিদ্যুত্ উত্পাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা অনেকটাই কমবে।

এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ নিয়ে অনিশ্চয়তা

ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আকাশপথে পরিচালিত হামলা রুখে দেওয়ার ব্যবস্থার নাম অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ শুধু ক্ষেপণাস্ত্র নয়, এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ ব্যবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের লঞ্চিং প্যাড, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী গাড়ি, শক্তিশালী রাডার ও স্বয়ংক্রিয় আক্রমণে প্রতিপক্ষকে বিপর্যস্ত করার বন্দোবস্ত। যেকোনো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, স্টিলথ ফাইটার (গোপনে হামলা চালাতে সক্ষম যুদ্ধবিমান), ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল আকাশসীমায় ঢুকলে ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে আকাশেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম এ ব্যবস্থা। একসঙ্গে ৩৬টি টার্গেটে হামলা চালাতে পারে এর একেকটি ইউনিট। রাশিয়ার কাছ থেকে এ ধরনের পাঁচটি ইউনিট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। এর জন্য ৪০ হাজার কোটি রুপি বিনিময়ে সম্মতিও দিয়েছিলেন মোদি। তবে বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রুশ প্রেসিডেন্ট অন্যান্য চুক্তি বিষয়ে উল্লেখ করলেও ট্রায়াম্ফ বিষয়ে কথা বলেননি। অনেকের ধারণা, এস-৪০০ ট্রায়াম্ফের দর নিয়ে দেশ দুটি একমত হতে পারেনি।

ভারত-রাশিয়ার পরমাণু চুক্তিকে উদ্বেগজনক আখ্যায়িত করে পাকিস্তান বলেছে, এর ফলে উপমহাদেশে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যেভাবে চাকরি পেলাম

ম্যাটসে ব্যর্থ বিসিএসে সফল

    ৪৪তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন সাগর হোসেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়েছেন তিনি। বিসিএসে তাঁর সফলতার পেছনের গল্প শুনেছেন ওয়াসিফ আল আবরার
শেয়ার
ম্যাটসে ব্যর্থ বিসিএসে সফল
সাগর হোসেন

এসএসসি শেষ করে ভর্তি হই মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং (ম্যাটস) কোর্সে। ম্যাটসে তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় মনে হলো, এই লাইনে ভবিষ্যৎ নেই! তখন ঠিক করলাম গ্র্যাজুয়েশন করব। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এইচএসসি লাগবে। কিন্তু এরই মধ্যে দুই বছর গ্যাপ হয়ে গেল।

গ্যাপ থাকলে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হওয়া যায় না। তাই কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে প্রাইভেট প্রোগ্রাম-এ এইচএসসিতে ভর্তি হলাম। তখন এইচএসসির পড়াশোনা ও প্রস্তুতি নিতে হচ্ছিল। এদিকে ম্যাটস ফাইনাল পরীক্ষায় এক কোর্সে ফেল করি।
এই ফেলই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। পুরো মনোযোগ দিলাম এইচএসসি পরীক্ষায়। ফলে জিপিএ ৪.৫০ পাই। এরপর শুরু করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুতি।
শুধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল (ইবি) আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আবেদন (২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ) করেছি। কিন্তু রাবিতে চান্স পেলাম না। ইবির পরীক্ষার আগে আমার এক বন্ধু প্রশ্নব্যাংক সংগ্রহ প্রস্তুতির পরামর্শ দিল। পরীক্ষার তিন দিন আগে বই কিনে পড়ে পরীক্ষা দিলাম। ফলাফল প্রকাশ হলো, দেখলাম আমি সি-ইউনিটে ২৬তম হয়েছি।
যদি ম্যাটসে ফেল না করতাম এইচএসসি-স্নাতক শেষ করা হতো না, আর আজ এখানেও আসতে পারতাম না! ম্যাটস থাকা অবস্থায় আমি লুকিয়ে বই ধার করে এইচএসসির প্রস্তুতি নিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম। যার কাছ থেকে বই এনেছিলাম, সে বই চাইতে এলে বাড়ির লোক প্রথম জানতে পারে আমি এইচএসসির প্রস্তুতি নিচ্ছি।

২০২১ সালের অক্টোবরে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলি ছিল। পরীক্ষার আগের ২৭ দিন সকালে উঠে ৮টায় পড়তে বসতাম আর রাত ৯টায় টেবিল থেকে উঠতাম। পড়া শেষে এক ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করতাম। ঘুমানোর আগে দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র পড়তাম। ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল হয়েছে ২০২৫ সালে, অর্থাৎ প্রিলিমিনারির তিন বছর পর। টিউশনি করানোর কারণে গণিত ও ইংরেজিতে এগিয়ে ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই সেমিনার লাইব্রেরিতে বসে ভোকাবুলারি পড়তাম। আমার মতে, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরু থেকেই টুকটাক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। সমসাময়িক বিষয়ে জানতে পত্রপত্রিকা, সাহিত্য, রাজনীতি, ইতিহাসসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়তে হবে।

লাইব্রেরি ওয়ার্ক : সফল হতে হলে লাইব্রেরি ওয়ার্ক খুবই জরুরি। আমি সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে কম বসতাম, আমাদের বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতে বেশি বসতাম। কিন্তু আমাদের যে লাইব্রেরিয়ান মামা ছিলেন আমাকে একপ্রকার ঠেলেই বের করে দিতেন! কারণ শেষ বেলায় আমি ছাড়া আর কেউ লাইব্রেরিতে থাকত না। আমি চলে গেলে তিনি সব বন্ধ করে চলে যাবেন, তাই এমনটা করতেন। আমি ঝড়-বৃষ্টিতেও লাইব্রেরিতে গেছি। কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে আমি ১০ মিনিটের জন্য হলেও যেতাম। ঢাকার বাইরে বসেও ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গণযোগাযোগ অধিদপ্তরে দরকার ১৭৭ কর্মী

    ১৪ ধরনের পদে মোট ১৭৭ কর্মী নিয়োগ দেবে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর। একজন প্রার্থী শুধু একটি পদে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করতে হবে ২৮ জুলাই ২০২৫ তারিখের মধ্যে। নিয়োগ পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতিসহ বিস্তারিত জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরে দরকার ১৭৭ কর্মী

প্রার্থী বাছাই যেভাবে : প্রার্থী নির্বাচনে লিখিত, ব্যাবহারিক (প্রযোজ্য হলে) ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার আগে কেন্দ্র ও সূচি প্রার্থীর মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও (https://masscommunication.gov.bd) এ তথ্য পাওয়া যাবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্ধারিত পরীক্ষা পদ্ধতি ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার বিধিমালা অনুযায়ী লিখিত, মৌখিক ও ব্যাবহারিক পরীক্ষার ধরন নির্ধারণ করা হবে।

  

বিগত পরীক্ষা যেমন হয়েছে : গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের বিগত নিয়োগ পরীক্ষা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সংক্ষিপ্ত রচনামূলক পদ্ধতিতে। বেশির ভাগ পদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নম্বর ছিল ৭০। প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানএই চার বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়েছে। বেশির ভাগ পরীক্ষার প্রশ্নেই বাংলায় ২০, ইংরেজি ২০, গণিতে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর রাখা হয়েছে।

আগামী পরীক্ষাও এমন হতে পারে।

পরীক্ষার প্রস্তুতি : পদভেদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান ও ধরনে ভিন্নতা থাকবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন হয় সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ওপর। গড়ে বিষয়ভিত্তিক ১৫-২০ নম্বর থাকতে পারে।

তৃতীয় শ্রেণির পদের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয় অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই থেকে। চতুর্থ শ্রেণির পদের প্রশ্ন আসে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই থেকে। সব পদের ক্ষেত্রেই বাংলা ব্যাকরণের অনুচ্ছেদ, চিঠি/আবেদন, বানান, বাগধারা, সন্ধি, সমাস, কারক, এককথায় প্রকাশ ও সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ অধ্যায়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজির প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিষয়ের ওপর প্যারাগ্রাফ, ফ্রেইজ অ্যান্ড ইডিয়ম, প্রিপজিশন, আর্টিকল,  চেইঞ্জিং সেনটেন্স, রাইট ফর্ম অব ভার্ব বেশি বেশি পড়তে হবে। গণিতের ক্ষেত্রে সপ্তম শ্রেণির সাধারণ গণিত, অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিত এবং নবম-দশম শ্রেণির বীজগণিতের অধ্যায়গুলোতে ভালো দখল থাকতে হবে।
সাধারণ জ্ঞানের সমসাময়িক বিষয় বা তথ্য, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে প্রশ্ন থাকে। প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকতে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সংশ্লিষ্ট পদগুলোর বিগত প্রশ্নপত্র দেখে অনুশীলন করুন।

কোন পদে কতজন : সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর ২ জন, ঊর্ধ্বতন কণ্ঠশিল্পী ৩ জন, সাউন্ড মেকানিক ৪ জন, ড্রাইভার ২২ জন, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর ৪০ জন, হিসাব সহকারী ২ জন, ঘোষক ১৮ জন, স্টোর অ্যাসিস্ট্যান্ট ২ জন, মোটর মেকানিক ১ জন, ফ্লুট প্লেয়ার ১ জন, সহকারী সাইন অপারেটর ১ জন, এপিএই অপারেটর ২২ জন, অফিস সহায়ক ৩৩ জন এবং নিরাপত্তা প্রহরী ২৬ জন। পদভেদে যোগ্যতা এসএসসি থেকে স্নাতক বা সমমান। বেশ কিছু পদে সংশ্লিষ্ট কাজের পেশাগত দক্ষতা চাওয়া হয়েছে। ১ জুলাই ২০২৫ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। সব জেলার প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন।

বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা : নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন কাঠামো ২০১৫ অনুযায়ী মাসিক বেতন ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

আবেদন লিংক ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি :

http://mcd.teletalk.com.bd

মন্তব্য

১৮৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেবে বিসিক

    রাজস্ব খাতে ৩৪ ধরনের পদে ১৮৫ জন নিয়োগ দেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জনবল নেওয়া হবে অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে, ৭২ জন। অনলাইনে আবেদন করা যাবে ৬ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত। নিয়োগ পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
১৮৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেবে বিসিক
ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

নিয়োগ পরীক্ষা কিভাবে

রচনামূলক (লিখিত), মৌখিক এবং ব্যাবহারিক (কিছু পদে) পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। বিসিকের বিগত নিয়োগ পরীক্ষা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রায় সব পদেই এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। গ্রেডভিত্তিক পদ অনুসারে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা দেখা গেছে। নবম ও দশম গ্রেডের পদের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা হতে পারে ৮০ নম্বরে (রচনামূলকে ১০ ও এমসিকিউতে ৭০)।

মৌখিক পরীক্ষায় ২০ অর্থাৎ মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা। ১১তম গ্রেড থেকে ১৬তম গ্রেডের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা হতে পারে ৭০ নম্বরে। এ ছাড়া ব্যাবহারিকে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ২০ ও মৌখিকে ১০ নম্বর। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি ও বিসিক কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা অনুযায়ী লিখিত, মৌখিক ও ব্যাবহারিক পরীক্ষা নির্ধারণ করা হবে।
প্রায় সবগুলো পদের পরীক্ষায়ই বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটার বিষয়ে গড় নম্বরভিত্তিক প্রশ্ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

 

পরীক্ষার প্রস্তুতি

পদ ও যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও প্রশ্নের ধরনের ভিন্নতা থাকতে পারে। বিসিক সাধারণত নিজেদের ব্যবস্থাপনায় লিখিত পরীক্ষা নেয় না। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইসস্টিটিউট (আইবিএ) বা বিজনেস ফ্যাকাল্টির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।

নবম ও দশম গ্রেডের পদে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই থেকে। সাধারণ জ্ঞানে প্রশ্ন আসে সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর। এ ছাড়া আইসিটি, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকেও প্রশ্ন করা হয়। ১১তম থেকে ১৬তম গ্রেডের পদগুলোতে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ, সাহিত্য, গদ্য ও পদ্য অংশ, ইংরেজি গ্রামারের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এবং পাটিগণিত থেকে প্রশ্ন করা হতে পারে। সাধারণ জ্ঞানের জন্য নিয়মিত পত্রিকা পড়ার পাশাপাশি দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে ভালো দখল থাকতে হবে।
সহায়ক বই বা অনলাইনে বিসিকের বিগত নিয়োগ পরীক্ষার পদভিত্তিক প্রশ্নপত্র অনুশীলন করতে পারেন। এসব প্রশ্নপত্র দেখলে পরীক্ষার ব্যাপারে সার্বিক ধারণা পাবেন।

 

কোন পদে কতজন

নবম গ্রেডের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ১ জন, এনালিস্ট ১, প্রটোকল অফিসার ১, মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ১, পরিকল্পনা কর্মকর্তা ২, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ২, কর্মী ব্যবস্থাপনা কর্তকর্তা ১, গবেষণা কর্মকর্তা ১, জরিপ ও তথ্য কর্মকর্তা ৩, প্রমোশন কর্মকর্তা ২৩, সহকারী অনুষদ সদস্য ২, রসায়নবিদ ১, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্থায়ী) ১১, অডিট অফিসার ১, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (অস্থায়ী) ১, ঊর্ধ্বতন নকশাবিদ ১ এবং সহকারী প্রকৌশলী ১ জন। যোগ্যতা পদভেদে স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর। দশম গ্রেডে ড্রাফটসম্যান ১, টেকনিক্যাল অফিসার ১৭ ও কারিগরি কর্মকর্তা ২ জন। যোগ্যতা ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিপ্লোমা পাস। ১১তম থেকে ১৬তম গ্রেডের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ২, নকশাবিদ ২, কম্পিউটার অপারেটর ১, হিসাব সহকারী ১, উচ্চমান সহকারী ৭, মান নিয়ন্ত্রণ সহকারী ২, ইলেকট্রিশিয়ান ১, টেকনিশিয়ান-৫, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (স্থায়ী) ৭২, (অস্থায়ী) ১, রিসেপশনিস্ট ১, নকশা সহকারী ৩ এবং ড্রাইভার ১৩ জন। পদভেদে যোগ্যতা স্নাতক থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস। প্রার্থীর বয়সসীমা ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। নবম ও দশম গ্রেডের প্রার্থীরা যেকোনো একটি পদে আবেদন করতে পারবেন। অন্য সব পদের প্রার্থীরা যোগ্যতা অনুযায়ী একাধিক পদে আবেদন করতে পারবেন। 

 

বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা

উল্লিখিত পদগুলো জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর নবম থেকে ১৬তম গ্রেডভুক্ত। নিয়োগপ্রাপ্তরা বেতন স্কেল অনুযায়ী মাসিক বেতন ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

 

আবেদন লিংক

http://bscic.teletalk.com.bd

মন্তব্য

চাকরির ভাইভায় কমন প্রশ্ন

    বিসিএস ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষার ভাইভায় তথ্যভিত্তিক, বিশ্লেষণমূলক, মনস্তাত্ত্বিক, ঘটনাকেন্দ্রিক প্রশ্নের পাশাপাশি করা হয় জড়তা কাটানো বা বরফ গলা (আইসব্রেকিং) প্রশ্ন। ভাইভায় এ ধরনের কিছু কমন প্রশ্ন থাকেই। এসব প্রশ্নের প্রস্তুতি ও উত্তর নিয়ে লিখেছেন বিসিএস ক্যাডার ও ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শক রবিউল আলম লুইপা
শেয়ার
চাকরির ভাইভায় কমন প্রশ্ন
ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

প্রশ্নের ধরন

কথোপকথনের শুরুতে যেমন কুশলাদি জিজ্ঞেস করা হয়, ঠিক তেমনি ভাইভায় মূল প্রশ্নে যাওয়ার আগে প্রার্থীসংশ্লিষ্ট সাধারণ প্রশ্ন করা হয়। যেমনপ্রার্থীর জেলা, উপজেলা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে। এসব সাধারণ প্রশ্নের উত্তর প্রার্থীর জানাই থাকে। এই প্রশ্নগুলো ভাইভা বোর্ডে প্রার্থীকে নার্ভাসনেস কাটিয়ে স্বাভাবিক করে তোলে।

এমন প্রশ্নই মূলত জড়তা কাটানো বা বরফ গলা (আইসব্রেকিং) প্রশ্ন। তবে প্রশ্ন ইংরেজিতে করা হলে উত্তর ইংরেজিতেই দিতে হবে। এসব প্রশ্নের মাধ্যমে বোর্ড প্রার্থীর বাচনভঙ্গি, উপস্থাপন কৌশল, ইংরেজি দক্ষতা ইত্যাদি পরীক্ষা করেন। ভাইভার মাঝখানেও আইসব্রেকিং প্রশ্ন করা হতে পারে।
এসব প্রশ্নের মধ্যে আছেপ্রার্থীর পরিচয়, নামের অর্থ, নামের সঙ্গে মিলএমন বিখ্যাত ব্যক্তির তথ্য, জন্মতারিখের সঙ্গে মিলএমন বিখ্যাত ঘটনা, পছন্দের তালিকায় থাকা ক্যাডার কেন প্রথম পছন্দ, একাডেমিক বিষয়ের সঙ্গে পছন্দের ক্যাডারের মিল-অমিল নিয়ে প্রশ্ন, আপনাকে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে, নিয়োগ দিলে বিশেষ কী কী করবেন, ভাইভার দিনের সংবাদপত্রের শিরোনাম, Introduce Yourself/Academic Background/Your Family/Your District, Why BCS, Journey to BPSC, Activities from last night to viva board, নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/জেলা সম্পর্কিত প্রশ্ন ইত্যাদি।

 

নামের অর্থ

আপনার নাম কোন ভাষার শব্দ, অর্থ কীজেনে নেবেন। আপনার নামে বিখ্যাত কোনো ব্যক্তি থাকলে তাঁর পরিচয়, কর্ম ও তাঁর বিস্তারিত জীবনী জানতে হবে।

 

বংশ-পদবি

নামের শেষে বংশ-পদবি থাকলে পদবির ধরন (ধর্মীয়/জমিজমা সম্পর্কিত/পেশা সম্পর্কিত), উৎপত্তি ও এর অর্থ সম্পর্কে জেনে নেবেন।

যেমনআপনার নামের শেষে বেগম, চৌধুরী, খাঁ/খান, শেখ, সৈয়দ, ভূইয়া, তালুকদার ইত্যাদি পদবি থাকলে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হতে পারে। যেমন ধরুন, আপনার নামের শেষে মজুমদার আছে। এটি একটি ফারসি শব্দ। মৌজা শব্দের সঙ্গে ফারসি দার শব্দ যোগ হয়ে মজুমদার শব্দটি হয়েছে। যার অর্থ মৌজার অধিকর্তা বা প্রশাসক।
মোগল ও ব্রিটিশ আমলে যাঁরা এক বা একাধিক মৌজার অধিকর্তা ছিলেন তাঁদের মজুমদার বলা হতো। উপমহাদেশে মুসলিম ও হিন্দু উভয়ের ক্ষেত্রেই মজুমদার পদবি ব্যবহার হয়।

 

নির্দিষ্ট ক্যাডার প্রথম পছন্দ কেন

আপনি যে ক্যাডারটিকে পছন্দের তালিকার প্রথমে রেখেছেন, সে ক্যাডারের জনসেবার জায়গাগুলো তুলে ধরুন। এই ক্যাডারের আবেগের কারণগুলোও বুঝিয়ে বলুন। এরপর এই ক্যাডারটির সুযোগ-সুবিধার দিকগুলোও তুলে ধরবেন। পছন্দের ক্যাডারে আপনার পরিবার বা আত্মীয় থাকলে যদি তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে থাকেন, সেটাও যোগ করতে পারেন।

 

বিষয়ের সঙ্গে ক্যাডারের মিল

সব বিষয়ের সঙ্গে পছন্দের ক্যাডারের মিল থাকবে এমনটি নয়, এটি ভাইভা বোর্ডও জানে। তবু এমন প্রশ্ন করলে প্রার্থী কিভাবে মোকাবেলা করে, সেটি ভাইভা বোর্ড দেখতে চায়। সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কাজের সঙ্গে একাডেমিক বিষয়ের মিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। যেমন কম্পিউটার সায়েন্সের সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি, কাজের অটোমেশন, যান্ত্রিক বিষয়ের দক্ষতা, গাণিতিক নির্ভুলতা, কাজের একাগ্রতা ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট। হিসাববিজ্ঞান মূল্যবোধ ও জবাবদিহি নিয়ে কাজ করে। স্বচ্ছতা, ফ্রেমওয়ার্ক মেনে চলা, কাজের পূর্ণতা ইত্যাদিও হিসাববিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য। তাই পছন্দের ক্যাডারের সঙ্গে এই বিষয়গুলো সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করবেন।

 

আপনার সক্ষমতা

আপনার যেসব ভালো গুণ আছে, সেগুলো প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করার চেষ্টা করবেন। এই গুণ আপনাকে এগিয়ে রাখবে। যেমনআপনি দিনের কাজ দিনে শেষ করতে পছন্দ করেন, আপনি ব্যক্তিজীবনে নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলেন, আপনার মধ্যে নেতৃত্ব গুণাবলি আছে ইত্যাদি।

 

আপনাকে কেন নিয়োগ দেবে!

এই প্রশ্নের মাধ্যমে মূলত প্রার্থীর সক্ষমতা জানতে চাওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে আপনার যে দক্ষতা আছে সেটি উল্লেখ করুন। যেমনএই পদের কাজ সম্পর্কে ব্যক্তিগত আগ্রহ আছে, তাই নিয়োগ পেলে মনেপ্রাণে কাজ করবেন। অথবা প্রার্থীভেদে উত্তর হতে পারেআমি যেহেতু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করেছি, আমার একাডেমিক জ্ঞান আমি পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারব; আমি একই বিষয়ে মাস্টার্সে থিসিস/ইন্টার্ন করেছি, সেখানের প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞানও আমি কাজে লাগাতে পারব; এই পদে নতুন হলেও আমি খুব কুইক লার্নার, সব কিছুই অল্প সময়ে শিখে নিতে পারব; আমি নীতির অনুসরণের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছি, ব্যক্তিগত সততায়ও আমার আস্থা আছে, তাই পদের সঙ্গে আর্থিক যোগসূত্র থাকলেও সত্ভাবে দায়িত্ব পালন করব; পদের উপযুক্ত হিসেবে আমি নিজেকে প্রমাণের সুযোগ চাই। নিয়োগ পেলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরেসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের কাজ বা উদ্যোগ নেওয়া উচিত কিন্তু এখনো নেওয়া হয়নি, এগুলো উল্লেখ করতে পারেন। তবে কখনোই এ ধরনের কথা বলতে যাবেন না, সিনিয়ররা ব্যর্থ, আমি এসেই সব কিছুর উন্নয়ন করে ফেলতে পারব।

 

নিজের সম্পর্কে

যেকোনো চাকরির ভাইভায় সবচেয়ে কমন প্রশ্ন হলো—‘আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন (বাংলা/ইংরেজিতে)। এই সহজ প্রশ্নের উত্তরই বোর্ডকে আশ্বস্ত করার মুখ্য সুযোগ। তবে অপ্রাসঙ্গিক কোনো উত্তর দেওয়া যাবে না।

এই প্রশ্নের উত্তরে যা বলবেন-

১. আপনার নাম, জেলা, সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা।

২. আপনার প্রফেশনাল ডিগ্রি ও কাজের অভিজ্ঞতা।

৩. কোনো টিম বা প্রজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা (সংকট অবস্থায় আপনার কী ভূমিকা ছিল)।

৪. সাহিত্য/সাংস্কৃতিক/সামাজিক/অন্যান্য অভিজ্ঞতা (মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে গিয়েছেন কি না)।

৫. আপনার শক্তিশালী গুণ, যা প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগবে (আপনাকে কেন চাকরিটা দেবে)।

৬. প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আপনার স্বপ্ন (আপনার দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবদান)।    

যা বলার প্রয়োজন নেই

১. আপনার মা-বাবা ও ভাই-বোনের তথ্য।

২. পরিবারের সদস্য সংখ্যা, বংশপরিচয় বা প্রভাব-প্রতিপত্তি।

৩. পুরো ঠিকানা (গ্রাম, ডাকঘর, থানা)।

৪. শখ (অল্প সময়ের পরিচিতি প্রদানে এর প্রয়োজন নেই)।

 

কেন বিসিএস

এত চাকরি থাকতে কেন বিসিএসে আগ্রহী, এটি কমন প্রশ্ন। এমন প্রশ্নের নমুনা উত্তর (ইংরেজিতে)

The civil service plays a vital role in a nation, serving as the core mechanism through which government policies and strategies are implemented at the grassroots level. It acts as a bridge between the government and the public, helping to realize the hopes and aspirations of the people. By joining the civil service, I aim to become part of this meaningful mission and contribute to the overall development of the country.

In addition, the civil service offers a wide range of opportunities for cadre officers, including the chance to work on deputation in various ministries and departments. These diverse assignments provide valuable experience, which enhances one’s capacity to contribute effectively to policy formulation and strategic planning.

Moreover, civil servants are held in high regard and enjoy significant respect and prestige in society-an honor that is rarely matched in other professions. This blend of professional growth, social recognition, and meaningful service makes the civil service an ideal career choice for me.

একই ভাবে Introduce Your District, Journey to BPSC, Activities from last night to viva board ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরও নিজে নিজে প্রস্তুত করুন।

 

ভাইভার দিন

ভাইভার দিন সকালে অবশ্যই শীর্ষস্থানীয় দু-একটি পত্রিকা পড়ে যাবেন। সময় কম থাকলে যাওয়ার পথে সঙ্গে নিয়ে যাবেন। গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো একপলক দেখে নেবেন। পত্রিকার খবর, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা পরিসংখ্যানের ওপর প্রশ্ন করা হতে পারে

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ