<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লাখ টাকা থেকে কোটি টাকার গাড়ি আমদানিতে সরকার নতুন করে শুল্ক আরোপ করেনি। রিকন্ডিশন্ড, ব্র্যান্ড নিউ, হাইব্রিড—সব ধরনের গাড়ি আমদানিতে গত অর্থবছরের বাজেটের শুল্ককর হুবহু বহাল রেখেছে সরকার। বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয়ে পরিকল্পনা প্রস্তাবিত এই বাজেটেও লক্ষণীয়। এর মাঝেও বিলাসী গাড়ি আমদানিতে শুল্ককর না বাড়ানোর বিষয়টি সুখবর। কিন্তু রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডা সেটিকে সুখবর হিসেবে দেখাতে চায় না। উল্টো তারা বলতে চাইছে, শুল্ককর না কমালে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম আরো বাড়বে। এ জন্য তারা ডলারের বিনিময়মূল্যকে দায়ী করেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বারভিডার সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও শীর্ষ গাড়ি ব্যবসায়ী কে কে অটোমোবাইলসের কর্ণধার এস এম আনোয়ার সাদাত কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডলার সংকট, ঋণপত্র সংকট, বিলাসী পণ্য আমদানির কঠোর কড়াকড়ির মধ্যে বাজেটে নতুন করে গাড়ির শুল্ক না বাড়ানোর জন্য অবশ্যই সরকারকে ধন্যবাদ। এমনিতেই ডলারের বিনিময়মূল্য বেশি হওয়ার কারণে ২৫ লাখ টাকার নিচে কোনো গাড়িই নেই। ফলে গাড়ি কেনা মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে আগেই। এখন যদি শুল্কহার আরো বাড়ত তাহলে গাড়ি ব্যবসা বন্ধ করেই ঘরে ফিরতে হতো। কিন্তু সেটা না করেই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে।’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে ব্যক্তিগত যত গাড়ি ব্যবহৃত হয় তার ৯৫ শতাংশই দুই হাজার সিসির নিচের গাড়ি। গত বাজেটেও সেই শুল্কহারে হাত দেওয়া হয়নি। এই বাজেটেও সেখানে নজর পড়েনি রাজস্ব বোর্ডের। ফলে সাধারণ গাড়ি ব্যবসায়ীরা এতে খুশি। অনেকেই একে মন্দের ভালো বলছেন। কিন্তু সেটি স্বীকার করতে চান না বারভিডার নেতারা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ২০ লাখ টাকার একটি এক্সিও কার ২৪ লাখ টাকায়, ৩৫ লাখ টাকার একটি এক্সিও কার ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। </span></span></span></span></p>