<p>বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে মারা গেছেন তরুণ সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ও তুষার হালদার। অভিশ্রুতি মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে তুষার স্টার টেকে ভিডিও অ্যান্ড সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।</p> <p><strong>অভিশ্রুতির পরিচয় নিয়ে জটিলতা</strong></p> <p>অভিশ্রুতির লাশ নিতে  এসে তাঁর বাবা শাহবুরুল আলম সবুজ জানান, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। সে সময় অভিশ্রুতির পরিচয় নিয়ে এক ধরনের হট্টগোল তৈরি হয়। হট্টগোলের এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের কর্তৃপক্ষ অভিশ্রুতির ভোটার আইডি কার্ড ও তাঁর থেকে নেওয়া ফিঙ্গার প্রিন্ট পরীক্ষা করে। এই পরীক্ষাই শনাক্ত হয় অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হচ্ছে বৃষ্টি খাতুন।</p> <p>গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের বাবা শাহবুরুল আলম সবুজ শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে উপস্থিত হন। তিনি অভিশ্রুতির ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, এটি তাঁর মেয়ে। তাঁর মেয়ের নাম বৃষ্টি খাতুন। তিনি মুসলমান ঘরের সন্তান। সে সময় অভিশ্রুতির পরিচিতরা বাধা দেয়। তারা জানায়, অভিশ্রুতি হিন্দু পরিবারের সন্তান। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অভিশ্রুতির বাবার সঙ্গে তাঁর পরিচিতদের এ নিয়ে হট্টগোল চলতে থাকে। এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ অভিশ্রুতির ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চায়। এই ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে অভিশ্রুতির থেকে নেওয়া ফিঙ্গার প্রিন্টের পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষায়ই অভিশ্রুতি যে বৃষ্টি খাতুন তা প্রমাণিত হয়। এর আগে অভিশ্রুতির লাশটি শনাক্ত করেন তাঁর সহকর্মী দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের প্রধান প্রতিবেদক গোলাম রাব্বানী। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর লাশটি শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের মর্গে রয়েছে। আমরা সকালে জেনেছি, অভিশ্রুতিকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে তাকে খুঁজে পাই।’</p> <p>অভিশ্রুতি ছাড়াও গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন আরেক তরুণ সাংবাদিক তুষার হালদার। তুষার সম্প্রতি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেন। এরপর স্টার টেকে ভিডিও অ্যান্ড সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার তালগাছিয়া গ্রামের দীনেশ চন্দ্র হাওয়ালাদের সন্তান। তুষার পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় থাকতেন।</p>