<p> হিসাব বিভাগে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা যোগ, বিয়োগ, ভাগ কিংবা শতকরা হিসাব সবচেয়ে ভালো জানেন। পেশাগত জীবনে কেউ কেউ থাকেন, যাঁরা মুখে মুখে নির্ভুল হিসাব কষেন। যেন ক্যালকুলেটরও হার মানে। ব্যবসাসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্তের সংমিশ্রণের পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন চোখের পলকে। অবিশ্বাস্য এই সম্পদ। কোন সিদ্ধান্ত সঠিক হবে, তাঁরা অনেক দ্রুত অনুমান করতে পারেন। কেউ কেউ বলেন, জন্মগত ক্ষমতা। আসলে, চর্চার চেয়ে বড় আর কিছু নেই। সব না হলেও বেশির ভাগ ক্ষমতার উৎস এখানেই। এই দ্রুত হিসাব কষার জন্যও আছে প্রত্যেকের নিজস্ব কৌশল। এর মধ্যে ১০টি কৌশল নিচে তুলে ধরা হলো।</p> <p> এক.</p> <p> হিসাব কষার ক্ষেত্রে যোগ, গুণ আর শতকরা হিসাব সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে। ফলে সহজ সহজ যোগ, গুণ আর ভাগ মুখস্থ রাখতে হবে। যেমন : দশক, শতক আর সহস্র পর্যন্ত সহজ যোগগুলো, অন্তত বিশ ঘর পর্যন্ত নামতা মুখস্থ রাখা ইত্যাদি।</p> <p> দুই.</p> <p> ভাগফল নির্ণয় করার জন্য আছে অনেক কৌশল। কোনো সংখ্যক কোনো সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে ভাগ করা যাবে অথবা যাবে না সেটাও অঙ্ক কষা ছাড়াই শুধু সংখ্যাটি দেখেই নির্ণয় করা যায়। যেমন : যদি কোনো সংখ্যার অঙ্কগুলোর যোগফলকে ৩ দিয়ে ভাগ করা যায় তাহলে সংখ্যাটিও ৩ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য হবে। এমনি ছোট ছোট কৌশল আপনাকে দ্রুত অঙ্ক কষতে সাহায্য করবে।</p> <p> তিন.</p> <p> হিসাব কষে একদম সঠিক ফলাফলটি বের করতে না পারলেও খুব কাছাকাছি একটি ফলাফল অনুমান করতে পারলেও বলে দিন। অনেক সময় একদম সঠিক তথ্য প্রয়োজনও হয় না। একটা ধারণা পেলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। তাই ধারণা করতে পারলে আর বিশুদ্ধ ফলাফলের জন্য সময় নষ্ট করবেন না।</p> <p> চার.</p> <p> যারা এই গুণটি বাড়াতে চান তারা মনে মনে চর্চা চালিয়ে যায়। সময় পেলেই মনে মনে হিসাব কষুন। গুণ, ভাগ, যোগ, বিয়োগ, শতকরা যা ইচ্ছা।</p> <p> <a name="RIMG0"></a></p> <p> পাঁচ.</p> <p> সংখ্যা মুখস্থ রাখার চর্চা করুন । যত বড় সংখ্যা পারা যায়। যেমন টেলিফোন নম্বর, ভোটার আইডি নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর ইত্যাদি।</p> <p> ছয়.</p> <p> অদৃশ্য ব্লাকবোর্ডে মনে মনে অঙ্ক কষুন। বিশেষ করে চার ও তার চেয়ে বড় সংখ্যার গুণ, যোগ, বিয়োগ ইত্যাদি।</p> <p> সাত.</p> <p> বর্তমানে গণিতের মজার মজার নানা বিষয়ের বই পাওয়া যায়। সময় পেলে বইগুলো পড়ে ফেলুন। হিসাব কষার প্রতি আপনার আগ্রহ আরো গাঢ় হবে।</p> <p> আট.</p> <p> যারা দ্রুত হিসেব কষতে পারে তাদের সঙ্গে মনে মনে প্রতিযোগিতা করুন। যখনই সুযোগ পাবেন চেষ্টা করবেন তাদের আগেই ফলাফলটি বলতে। এই চেষ্টা অব্যাহত রাখুন।</p> <p> নয়.</p> <p> অফিসে আপনার পদবি ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী হিসাব কষার চর্চা করুন। যে ধরনের কাজ আপনাকে করতে হয় তার ওপরে নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা কতটা বাড়াতে হবে।</p> <p> দশ.</p> <p> আরো জটিল ক্ষেত্রে চাইলে আপনি ক্যালকুলেটরও ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অঙ্ক কষার পদ্ধতিটি আপনাকে অতি দ্রুত ঠিক করে ফেলতে হবে। পদ্ধতি সঠিক হলে আপনার ফলাফলও সঠিক হবে। উদাহরণ-ধরুন আপনি টাকায় পণ্য কিনে বিদেশি ক্রেতার কাছে ডলারে পণ্য বিক্রি করেন। এবার বিদেশি ক্রেতা আপনার কাছে আপনার পণ্যের মূল্য জানতে চাইল। আপনি বাজারে ডলারের ক্রয়মূল্য অনুসারে দাম ঠিক করবেন, নাকি বিক্রয়মূল্য অনুসারে? এখানে আগে আপনাকে পদ্ধতি ঠিক করতে হবে তারপর দ্রুত হিসাব করতে হবে।</p> <p>  </p>