গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
১। আমরা কাজ করতে পারি না—ভয় আর লজ্জায়।
২। শক্তি মরে—ভীতির কবলে।
৩। সব সময় সংকল্প টলে—সংশয়ে।
৪। কবি অন্তরের চিন্তাকে তুলনা করেছেন—বুদ্বুদের সঙ্গে।
৫। মনের ব্যথা প্রশমন করতে পারে—স্নেহের কথা।
৬। বিধাতা প্রাণ দিয়েছেন—উচ্ছল থাকার জন্য।
৭। লোকলজ্জার ভয় পরিহার করলে—সদিচ্ছা বাস্তবায়িত হয়।
৮। নয়নের জল—নির্মল।
৯। হৃদয়ে শুভ্র চিন্তা ওঠে—বুদ্বুদের মতো।
১০। কাজ করতে গেলে মানুষ—দ্বিধাগ্রস্ত হয়।
১১। কাজে দ্বিধাগ্রস্ততার কারণ—সমালোচনার ভয়।
১২। কবিতার মূল উদ্দেশ্য—মানুষকে কর্মোদ্যমী করা।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১। ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতায় সবাই একসঙ্গে মেলে কেন?
উত্তর : মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য।
২। আঁখি সযতনে শুষ্ক রাখে কখন?
উত্তর : যখন প্রাণ কাঁদে তখন।
৩। ম্রিয়মাণ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : কাতর বা বিষাদগ্রস্ত।
৪। কামিনী রায় কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : বরিশাল জেলায়।
৫। শুভ্র চিন্তা কোথায় মিশে যায়?
উত্তর : হৃদয়ের তলে।
৬। কামিনী রায় কোন কলেজে পড়াশোনা করতেন?
উত্তর : কলকাতার বেথুন কলেজে।
৭। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবি কামিনী রায়কে কোন পদকে ভূষিত করে?
উত্তর : জগত্তারিণী স্বর্ণপদকে।
৮। আমরা কেন কাজ করতে পারি না?
উত্তর : সদা ভয় ও লাজে।
৯। আমাদের হৃদয়ে বুদ্বুদের মতো কী উঠে আসে?
উত্তর : শুভ্র চিন্তা।
১০। অন্যের ব্যথা উপশমের বিষয় এলে আমরা কী করি?
উত্তর : আমরা উপেক্ষা করে চলে যাই।
১১। আমরা কোন দলে মিশতে পারি না?
উত্তর : মহৎ উদ্দেশ্যে মিলিত দলে।
১২। বিধাতা প্রদত্ত প্রাণ নিয়েও আমরা সর্বদা কেমন করে থাকি?
উত্তর : সর্বদা ম্রিয়মাণ হয়ে থাকি।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১। ‘উঠে শুভ্র চিন্তা কত’—পঙক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : মহৎ কাজের জন্য মানুষের মনে উদ্ভূত শুভ চিন্তার বিষয়টি এখানে উঠে এসেছে। অপরের মঙ্গলের জন্য কাজ করার ইচ্ছা প্রত্যেক মানুষের মনেই কমবেশি থাকে। ফলে মহৎ কাজে ইচ্ছুক মানুষের মনে বুদ্বুদের মতো অসংখ্য শুভবুদ্ধির উদয় হয়। দ্বিধা ত্যাগ করে এই শুভ চিন্তাগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে জীবন সার্থক হয়।
২। আমরা সদা ভয় ও লাজে কাজ করতে পারি না কেন? বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : মানুষের সমালোচনার ভয়ে আমরা ভীত ও লজ্জিত থাকি বলেই কোনো কাজ করতে পারি না। ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতায় বলা হয়েছে, কোনো কাজ করতে গেলে কেউ কেউ অনেক সময় দ্বিধাগ্রস্ত হয়। সমালোচনার কথা ভেবে তারা বসে থাকে। এর ফলে কোনো কাজ এগোয় না এবং অনেক শুভ চিন্তার অপমৃত্যু ঘটে।
৩। মহৎ উদ্দেশ্যের জন্যও আমরা একসঙ্গে চলতে পারি না কেন?
উত্তর : পরের সমালোচনার ভয়ে মহৎ কাজেও আমরা ভীত হই। যার কারণে মহৎ উদ্দেশ্যের জন্যও একসঙ্গে চলতে পারি না। ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতায় নিন্দুকের সমালোচনার ভয় নানা কাজে কিভাবে বাধা দেয় তা উল্লেখ করা হয়েছে। নিন্দুকের ভয়ে আমরা কোনো ভালো কাজ করতেও দ্বিধাগ্রস্ত হই। কারণ লোকে কী মনে করবে, কী ভাববে—এ কথা ভেবে আমরা অস্থির হই।
৪। আর্তের পাশে দাঁড়াতে গিয়েও কেউ কেউ উপেক্ষা করে চলে যায় কেন?
উত্তর : অন্যের সমালোচনার ভয়ে আর্তের পাশে দাঁড়াতে গিয়েও কেউ কেউ উপেক্ষা করে চলে যায়।
কামিনী রায় ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতায় নিন্দুকের সমালোচনার ভয় নানা কাজে আমাদের কিভাবে বাধা দেয় তা উল্লেখ করেছেন। নিন্দুকের ভয়ে অনেকে মানুষের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে ব্যর্থ হয়। কারণ লোকে কী মনে করবে, কী ভাববে—এ কথা ভেবে তারা অস্থির হয়ে পড়ে। অথচ একটি স্নেহের কথা আর্ত মানুষের দুঃখ প্রশমন করতে পারে। তবু তারা লোকলজ্জার কারণে তা উপেক্ষা করে চলে যায়।
উদ্দীপক
উচ্চশিক্ষিত ছেলে কিনা কৃষক! নানাজনের কটূক্তি তাকে তিল পরিমাণ সরাতে পারে না লক্ষ্যবিন্দু থেকে। বিভিন্ন জাতের ফলমূলের চাষ করে ইতোমধ্যে দেশের অন্যতম চাষির স্বীকৃতি পেয়েছে মেসবাহ। তাকে নিয়ে ফলাও করে প্রতিবেদন ছাপিয়েছে বেশ কয়েকটা জাতীয় পত্রিকাও।
ক) কামিনী রায়ের কবিতায় কার প্রভাব স্পষ্ট?
খ) সংশয় থাকলে কাজ এগোয় না কেন?
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতার বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকের মেসবাহর মতো মানুষের জন্য ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতাটি প্রেরণার উৎস—মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর সংকেত
(ক) কামিনী রায়ের কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব রয়েছে।
(খ) সংশয় আমাদের মনে দ্বিধা ও সংকোচ তৈরি করে। এর ফলে কাজ এগোয় না। সমাজে কোনো কাজ করতে গেলে নানাজন নানা রকম সমালোচনা করে থাকে। এটি আমাদের মনে দ্বিধা ও সংকোচ তৈরি করে। আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি না। দৃঢ় মনোবল না থাকলে অন্যের সমালোচনা আমাদের কাবু করে। এ জন্যই আমরা আমাদের সংকল্প থেকে বিচ্যুত হই।
(গ) ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতায় লোকলজ্জা ও সমালোচনার ভয়ে ভীত মানসিকতার যে স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে, এখানে সেটিই ব্যাখ্যা করতে হবে।
(ঘ) এ কবিতায় নিঃশঙ্ক চিত্তে জীবনপথে এগিয়ে যাওয়ার যে আহ্বান জানানো হয়েছে, সে বিষয়টা এখানে বিশ্লেষণ করতে হবে।
গ্রন্থনা : এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
মন্তব্য