►পরীক্ষার আগের দিন বেশি রাত না জেগে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করো। তা হলে সকাল সকাল উঠে ধীরে-সুস্থে তৈরি হতে পারবে। সেই সঙ্গে পড়াটাও ঝালাই করে নেওয়া যাবে।
►কোন দিন কোন বিষয়ের পরীক্ষা এবং কয়টা থেকে শুরু, তা দেখে নিতে ভুলো না! একবার আমাদের ধর্ম পরীক্ষার সময় আমার এক বন্ধু রুটিন ভুল দেখে বাংলার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল!
►পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ঠিকমতো নাশতা করবে।
বিজ্ঞাপন
►বাসা থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই প্রবেশপত্র, কলম, পেনসিল, ইরেজার, শার্পনারসহ সব নিয়েছো কি না দেখে নেবে। একটা চেকলিস্ট বানিয়ে নাও ঝটপট।
►অনেকেরই পরীক্ষা শুরুর ঠিক ১০ মিনিট আগে হলে পৌঁছানোর অভ্যাস রয়েছে। এমনটা না করে হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হওয়া উচিত। অন্তত ২০ মিনিট আগে হলে উপস্থিত থাকা ভালো।
►টেনশন জিনিসটা ছোঁয়াচে। তাই যারা পরীক্ষা নিয়ে বেশি টেনশন করবে, তাদের কাছ থেকে দূরে থাকবে। তা না হলে ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও দেখা যাবে নার্ভাস হয়ে পড়ছ।
►অনেকেই টেনশন ও তাড়াহুড়ায় খাতায় নিজের নাম-রোল লিখতে ভুলে যায়। খাতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগে নাম, রোল ও শ্রেণি লিখে ফেলবে।
►প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর পুরোটা এক ঝলক পড়ে নেবে। দেখবে কোন কোন প্রশ্নের উত্তর তুমি দ্রুত লিখতে পারবে। ওগুলো দিয়েই শুরু হোক।
►মস্তিষ্ক হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। দেখবে হাত আর এগোচ্ছে না। ওই সময় হাত আবার চালু করতে খসড়া কাগজে হিজিবিজি একটা কিছু লিখে ফেলবে। মানে লেখা থামানো যাবে না। যা মনে আসে লিখতে থাকবে ওই কাগজে। এরপর দেখবে আবার মগজটা কাজ করা শুরু করে দিয়েছে।
►প্রশ্ন বুঝতে অসুবিধা হলে যাবতীয় দ্বিধা ঝেড়ে এক্সামিনারকে জিজ্ঞেস করে নেবে।
►হলে ঢোকার আগে ঠিকঠাক পানি খেয়ে নেবে। তবে অতিরিক্ত পানি পান করতে যেয়ো না। বুঝতেই পারছ, এতে সময় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
►পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগের রাতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এক শ হাত দূরে থাকবে। মনোযোগ নষ্ট করতে বা মন খারাপ করে দিতে কারো একটা পোস্ট বা স্ট্যাটাসই যথেষ্ট।