রাজশাহী নগরীর ভদ্রা মোড়ের উত্তর পাশে রয়েছে একটি বধ্যভূমি। বধ্যভূমি হিসেবে এটি সংরক্ষণ করা না হলেও স্থানটিতে ফুলের বাগানসহ বিভিন্ন গাছগাছালি রয়েছে। এই বধ্যভূমির পাশেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশাল এক স্মৃতিস্তম্ভ, নাম ‘স্মৃতি অম্লান’। এটি তৈরি করা হয় ১৯৯১ সালে।
বিজ্ঞাপন
মূল গোলাকার বেদির কেন্দ্রস্থল থেকে তিনটি স্তম্ভ সরলভাবে ঊর্ধ্বমুখে স্থাপিত। এই তিনটি স্মৃতিস্তম্ভের উচ্চতা ৮০ ফুট। প্রতিটি স্তম্ভের বাইরের দিকে ২৪টি ধাপ রয়েছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগতি নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয়েছে এই ২৪টি ধাপ। এ ছাড়া প্রতিটি স্তম্ভে ১০টি করে মোট ছিদ্র রয়েছে ৩০টি। এই ৩০টি ছিদ্রকে একাত্তরের যুদ্ধে শহীদ ৩০ লাখ মানুষের অবদানের প্রতীক হিসেবে রাখা হয়েছে।
স্তম্ভের শীর্ষ প্রান্তে মূল স্তম্ভের ব্যাস ৯ ফুট ২ ইঞ্চি। স্তম্ভ তিনটির শীর্ষে রয়েছে একটি গোলক। গোলকের ব্যাস ১০ ফুট। এই গোলক দিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতাপ্রাপ্তিকে বোঝানো হয়েছে।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) এই স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করলেও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
স্মৃতি অম্লানের মূল পরিকল্পনা করেছেন তৎকালীন আরডিএর চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার আবদুর রব। স্থপতি ছিলেন রাজিউদ্দিন আহমেদ। আর আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উদ্বোধন করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম ঠাণ্ডুর বাবা আজিজুর রহমান সরকার।