ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডাবের জোড়া ৪০০ টাকা

  • বোয়ালখালী
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
শেয়ার
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডাবের জোড়া ৪০০ টাকা

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এক জোড়া ডাব ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে রোগী ও তাদের স্বজনরা ডাব কিনতে বিপাকে পড়েছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে এই দামে ডাব কিনছেন। 

গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে দেখা যায়, বড় আকারের প্রতি জোড়া ডাব ৪০০ টাকা, মাঝারি আকার ৩০০ ও ছোট আকারের ২০০ টাকায় বিক্রি করছে বিক্রেতা।

ডাবের দাম শুনে অনেকে না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বাড়তি দামে কিনছেন।

ডাব কিনতে আসা কোহিনুর আকতার নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, গত দুইদিন ধরে আমার বাবা পেট ব্যথা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। ডাক্তার বাবাকে ডাবের পানি খাওয়াতে বলায় ডাব কিনতে এসেছি।

ডাবের দাম শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। সামপ্রতিক সময়ে বড় আকারের ডাবের জোড়া ছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। এখন সে ডাব বিক্রি করছে জোড়া ৪০০ টাকায়। যা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সাধ্যের বাইরে।

জসিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি বলেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে বিধায় ডাবের দামও বেড়েছে এটা স্বাভাবিক। তাই বলে দ্বিগুণ হওয়ার কথা নয়। অতিরিক্ত দামে ডাব বিক্রি করে রোগীদের জিম্মি করে ফেলেছে বিক্রেতা।

নয়ন বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কেবল একটি ডাবের দোকান থাকায় অতিরিক্ত দাম রাখছে ডাব বিক্রেতা। যেহেতু রোগীর জন্য ডাবের পানি প্রয়োজন, তাই দাম দ্বিগুণ হলেও বাধ্য হয়ে নিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

ডাব বিক্রেতা মো. দিদার বলেন, উৎপাদন কম আর ডেঙ্গুর কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডাবের দাম বেড়ে গেছে। আমরা ডাব কিনে আনছি বাড়তি টাকা দিয়ে। বড় আকারের প্রতিটি ডাব কিনতে হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। তারপর গাছ থেকে নামানোর খরচ আর গাড়ি ভাড়াতো আছেই। সব মিলে ডাবের পিছনে আমাদের খরচ বেশি হচ্ছে বিধায় ক্রেতাদের থেকে দামও বেশি নিতে হচ্ছে।

বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডাব কত বিক্রি করছে তা আমি জানি না। খবর নিয়ে দাম বেশি রাখলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’

ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় শুধু বোয়ালখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীরা নয়, বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিপাকে পড়েছেন। দাম বেশির কারণে অসুস্থ রোগীদের খাওয়াতে পারছেন ডাবের পানি। দাম বৃদ্ধির বিষয়টি দেখার কেউ নেই মন্তব্য করেন স্থানীয় লোকজন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ