

সোমালিয়ায় তীব্র খরা

সোমালিয়াসহ আফ্রিকার বিশাল অংশে তীব্র খরার কারণে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র খরার কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে প্রায় ৬২ লাখ মানুষ খাদ্য ও পানি সংকটে রয়েছে। এর ফলে দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী স্কুল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। বহু মানুষেরই জীবন হুমকির সম্মুখীন।

সোমালিয়ার খরা আক্রান্ত অঞ্চলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদক ফাহমিদা মিলার সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ডলো এলাকা থেকে জানান, খরায় ধুমা ধুমা এলাকা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ওই এলাকার শিশুরা উল্লেখযোগ্য হারে স্কুল ছেড়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, সোমালিয়া গত ২৫ বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

২০১১ সালের দুর্ভিক্ষে সোমালিয়ায় অন্তত ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নিহত হন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর হিসেবে, যাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই ৫ বছরের কম বয়সী শিশু।

এর আগে ২০১১ সালের দুর্ভিক্ষে সোমালিয়ায় অন্তত ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নিহত হন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর হিসেবে, যাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই ৫ বছরের কম বয়সী শিশু।

তীব্র খরায় ডায়রিয়া, কলেরা এবং হামের মতো রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন ৫৫ লাখ মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অপুষ্টিতে আক্রান্ত ৩ লাখ ৬৩ হাজার শিশু এবং তীব্র অপুষ্টির শিকার ৭০ জাহার শিশুর জীবন বাঁচাতে এখনই ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানান, দক্ষিণ সুদান, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনে প্রায় দুই কোটি মানুষ অনাহারে রয়েছেন।

দক্ষিণ সুদানের উত্তরাঞ্চলে আগেই দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে ঘোষণা না দেওয়া হলেও বহুদিন ধরেই অনাহারে রয়েছেন নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনের বহু মানুষ।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, নাইজেরিয়ার কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল গত বছর থেকেই দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত রয়েছে। আর সোমালিয়ায় যা চলছে ২০০০ সাল থেকে। সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের কারণ খরা। বাকি দেশগুলোতে সংঘাত আর মানব সৃষ্ট কারণে ঘটছে এমন বিপর্যয়।