

চীনের বিশাল সব মেগা প্রকল্প

চীন বর্তমানে বিশ্বের শুধু সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবেই নয় আরও কিছু কারণে অন্য সবার মাথা ঘুরিয়ে দিচ্ছে। এ দেশটির বিশাল সব প্রকল্প দেখলেও অনেকে অবাক হবেন। এখানে পাচ্ছেন তেমন কিছু প্রকল্পের তথ্য। এ ছবির পিংট্যাং টেলিস্কোপ বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেডিও টেলিস্কোপ। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হয়েছে এটি। এর ডিশের প্রস্থ ১,৬৪০ ফুট।

৪৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এশিয়ান হাইওয়ের আওতায় এশিয়ার ৩২টি দেশের মধ্যে দিয়ে হাইওয়ে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। আর এ হাইওয়ের মধ্যে চীনের অংশ যথেষ্ট বড়।

চীনের পার্ল রিভার ডেলটা মেগাসিটি প্রকল্পের খরচ ৩২২ বিলিয়ন ডলার। এখানে প্রাথমিকভাবে ৪২ মিলিয়ন মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। তবে ২০৩০ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ৮০ মিলিয়ন মানুষ বাস করবে নতুন এ শহরে।

বেইজিং থেকে সাংহাই পর্যন্ত উচ্চগতির রেলওয়ে লাইন নির্মিত হচ্ছে। এ প্রকল্পটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় উচ্চগতির রেল প্রকল্প, যার ব্যয় ৩৫ বিলিয়ন ডলার।

চীনের জিয়াওঝু বে ব্রিজ হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাগরের ওপরে নির্মিত সেতু। এর দৈর্ঘ্য ২৬ মাইল এবং নির্মাণ ব্যয় ১৬ বিলিয়ন ডলার।

হারবিন-ডালিয়ান হাইস্পিড রেলওয়ে হলো বিশ্বের একটি ব্যতিক্রমী প্রকল্প। এত উঁচু এলাকার ওপর দিয়ে উচ্চগতির রেললাইন এটিই প্রথম।

হাইনান ওয়েনচ্যাং স্পেস সেন্টার ২০১৪ সালে সম্পন্ন হয়। এ সেন্টারের নির্মাণব্যয় ১২ বিলিয়ন ডলার।

সাংহাই ইয়াংসান গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্টেইনার বহনকারী বন্দর হতে যাচ্ছে। এ বন্দরটি ২০২৪ সালে নির্মাণ সম্পন্ন হবে, যার ব্যয় ১২ বিলিয়ন ডলার।

সু-তং ইয়াংজি ব্রিজ হলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঝুলন্ত ব্রিজ। এর নির্মাণব্যয় ৭.৮৯ বিলিয়ন ডলার।

হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও ব্রিজ প্রকল্পতে ব্যয় হচ্ছে ১০.৬ বিলিয়ন ডলার। এটি ২০১৭ সালেই সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঝিলোউডু ড্যাম হলো বিশ্বের চতুর্থ উচ্চতম ড্যাম এবং চীনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। এ প্রকল্পের নির্মাণব্যয় ৬.৭৬ বিলিয়ন ডলার।

চীন ঐতিহ্যবাহী সিল্ক রোড নতুন করে চালু করছে। আর এ প্রকল্পের ব্যয় ৬.৫ বিলিয়ন ডলার।

বেইজিংয়ের সাউথ রেলওয়ে স্টেশন হলো শহরের সবচেয়ে বড় স্টেশন। আর এর নির্মাণব্যয় ৬.৩ বিলিয়ন ডলার।

জিয়াংজিয়াবা ড্যাম ২০১৪ সালে সমাপ্ত হয়। এতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।

নানহুয়ি নিউ সিটি প্রকল্প তৈরি হবে ২০২০ সালে। এতে এক মিলিয়ন মানুষের বাসস্থান হবে।

চীনের ৩.৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয়সাপেক্ষ কুনমিং চাংসুই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট নির্মিত হয়। এটি চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারপোর্ট।

বেইজিংয়ের ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট নির্মাণব্যয় সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। এটি বিশ্বের ছষ্ঠ বৃহত্তম বিল্ডিং।

ইয়াংজিয়াং নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশনের নির্মাণব্যয় ৩.২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শেষ হলে এটি থেকে ৮.৩ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

২.৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের ১২৮ তলা সাংহাই টাওয়ার চীনের সবচেয়ে উঁচু ভবন। এছাড়া বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম ভবন হতে যাচ্ছে এটি।

ইউহান রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণব্যয় ২.১২ বিলিয়ন ডলার। এ স্টেশনে থামবে ঘণ্টায় ১৮৬ মাইল গতির ট্রেনগুলো।

কুইনশান নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণব্যয় ২.২ বিলিয়ন ডলার।

চাংডু সাংগুলিউ এয়ারপোর্ট চীনের মেইনল্যান্ডের চতুর্থ ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট। এটি ২০১৫ সালে ৪২ মিলিয়ন যাত্রী বহন করেছে।

১.৮ বিলিয়ন ডলারে নির্মিত সাংহাই ইয়াংহাই ইয়াংজি নদী টানেল ও ব্রিজ হলো বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম কেবল ব্রিজ। এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ মাইল।

১.৭ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের নেনজিং মেট্রোর কাজ শেষ হয় ২০০৫ সালে। বর্তমানে প্রতিদিন এটি ব্যবহার করছেন প্রায় দুই মিলিয়ন যাত্রী।

৭৬০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত চীনের সেন্ট্রাল টিভি হেডকোয়ার্টারের আকার দেখলে যে কোনো ব্যক্তি অবাক হবেন। ৭৬০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে এ ভবন নির্মাণে।

১.১ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ১,৬১৪ ফুট উঁচু সাংহাই ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টার প্রজেক্ট বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম হোটেল।

৪৭৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত কুইনলিং টানেল হলো চীনের দীর্ঘতম হাইওয়ে টানেল। এটি ঝংনাম পর্বতের তল দিয়ে ১১ মাইল গিয়েছে।

গুয়াংঝু অপেরা হাউস হলো চীনের তিনটি বৃহত্তম থিয়েটারের অন্যতম। এর ডিজাইনার জাহা হাদিদ। নির্মাণব্যয় ২০০ মিলিয়ন ডলার।

সাংহাই সিংকরট্রন রেডিয়েশন ল্যাবরেটিতে চীনের প্রধানতম গবেষণাগুলো করা হয়। এর নির্মাণব্যয় ১৭৬ মিলিয়ন ডলার।